
চরকিং ভৈরব বাজার
নোয়াখালী হাতিয়ায় আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে ২০টি দোকান। এতে প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষতির আশংকা করছে ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) রাতে উপজেলার চরকিং ভৈরব বাজারে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
ব্যবাসীরা জানান, রাত তিনটার সময় এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। একটি চায়ের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। দোকানের মধ্যে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে মহুর্তে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীদের চিৎকারে লোকজন এসে আগুন নিবানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে সংবাদ দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসকে। ফায়ার সার্ভিস এসে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বাজার টিন দোকানের ব্যবসাযী কবির হোসেন জানান, আগুনে পুড়ে যাওয়া ২০টি দোকানের মধ্যে তার মালিকানা একটি টিনের দোকান রয়েছে । এই দোকানে প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল ছিল । রাতের আধারে হওয়ায় দোকানের কোন মালামাল বের করতে পারেন নি। একেবারে নি:স্ব হয়ে গেছেন বলে জানান এই ব্যবসায়ী।
চরকিং ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু তাহের জানান, আগুনে ২০ টি দোকান একেবারে ছাঁই হয়ে গেছে । এর মধ্যে একটি ফার্মেসী, একটি টিনের দোকান, দুইটি মুদি দোকান, দুইটি কাপড়ের দোকান, দুইটি কসমেটিক দোকান, দুইটি ইলেট্রনিক্স দোকান, চারটি চা দোকান, ও একটি ডেকারেটর দোকান সহ ২০টি দোকান রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে এর ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ৩ কোটি টাকার মতো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হাতিয়া ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, আগ্নিকান্ডের অনেক পরে তাদেরকে সংবাদ দেওয়া হয়েছে। তাও ৯৯৯ থেকে তাদেরকে সংবাদ দেওয়া হয়। এলাকাটা উপজেলা সদর থেকে অনেক দুরত্বে হওয়ায় যেতে সময় লেগেছে। তারা যাওয়ার অনেক আগে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে অধিকাংশ দোকান। তবে বিদ্যুতের শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বাপারে চরকিং ইউপি চেয়ারম্যান নাইম উদ্দিন বলেন, আগুনে বাজারের ব্যবসায়ীরা একে বারে নি:স্ব হয়ে গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সরকারিভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করা হবে।
এসআর