ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শহীদ ক্যাপ্টেন শামসুল হুদা সড়ক

শতবর্ষী গাছের গোড়া ভেঙে ঝুঁকে পড়ায় জনদুর্ভোগ

সংবাদদাতা, সৈয়দপুর, নীলফামারী 

প্রকাশিত: ১৮:০৪, ১৫ মার্চ ২০২৩

শতবর্ষী গাছের গোড়া ভেঙে ঝুঁকে পড়ায় জনদুর্ভোগ

শতবর্ষী রেইনট্রি গাছ

সৈয়দপুরে শহীদ ক্যাপ্টেন শামসুল হুদা সড়কের ওপর রেলওয়ের একটি শতবর্ষী রেইনট্রি গাছের গোড়া ভেঙ্গে বিপজ্জনকভাবে ঝুঁকে পড়েছে। এতে দুর্ঘটনার আশংকায় দ্রুত অপসারণের দাবি জানান পথচারিসহ স্থানীয়রা।

সৈয়দপুর বিমানবন্দর ও সেনানিবাস এলাকা হয়ে শহর প্রবেশের একমাত্র প্রধান শহীদ ক্যাপ্টেন শামসুল হুদা সড়ক। রেলওয়ে শহর খ্যাত এ সড়কের ওপর একটি পাতা ঝড়া শুকনো রেইনট্রি গাছের ভিতরে পচন ধরে গোড়া ভেঙ্গে অন্যটির ওপর ঝুঁকে পড়েছে। একই অবস্থা অন্য গাছটিরও। 

তাই দাড়ানো গাছটি ভাঙ্গা গাছের ওজোন বহন করলেও যে কোন মুহুর্তে সেটিও বিপজ্জনকভাবে ঝুঁকে পড়েছে। ফলে দুই লেনের ভিআইপি এ সড়কে যানবাহন ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। আর দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে কিংবা স্থানীয় উপজেলাসহ পৌর প্রশাসন।

স্থানীয়রা জানান, এ সড়কের ধারে সকল গাছ রেলওয়ের। বয়স বেশি হওয়ায় গাছগুলো অভ্যন্তরে পচন ধরেছে। এতে সব গাছই ঝুঁকিপুর্ণ ।  তবে বর্ষায় পানিতে উজ্জিবনী শক্তি পেয়ে সজিব থাকে। শুকনো ও ঝড়ো মৌসুমে এই গাছগুলো ঝুঁকিপুর্ণ। এর মধ্যে এই দুটি গাছ অনেক আগেই ঝুঁকে পড়েছে। এর কারণে সড়কে বড় গাড়ি চলতে পারে না। গাড়ির ঘষায় গাছগুলো ক্ষয়ে আরও দুর্বল হচ্ছে। সামনে কালবৈশাখীর সময়। তাই গাছ দুইটি দ্রুত অপসারণ করা দরকার।

এ সড়ক হয়ে সৈয়দপুর বিমানবন্দর, উপজেলা পরিষদ, কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজ, বিজ্ঞান কলেজ, সেনানিবাস এলাকায় প্রতিদিন শতশত রিক্সা, ভ্যান, অটোরিক্সা, পণ্যবাহী গাড়ি, কাভার্ড ভ্যান, মাইক্রোবাসসহ স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। তাই গাছ দুইটি অপসারণ করা জরুরি। 

এ নিয়ে অটো চালক জাভেদ বলেন, গোড়া ভাঙ্গা গাছসহ অন্যটি যেভাবে ঝুঁকে আছে আছে, তাতে গাছের নিচ দিয়ে যানবাহন যাওয়ার সময় ভয়ে থাকতে হয়। আমিনুল ইসলাম নামে এক মাইক্রোবাস চালক বলেন, একটি মাইক্রোবাস যেতে পারছে। তবে ১৫ থেকে ২৫ ফুট উঁচুর কারণে ট্র্যাক যাতায়াত করতে পারবেনা। এতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজ শেষে প্রতিদিন হেটে কিংবা ভ্যানগাড়ি, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন বাহনে চলাচল করতে হচ্ছে। এ গাছ দু’টি যে কোন সময় মাটিতে আছড়ে পড়তে পারে। তাই এ নিয়ে দুঃচিন্তায় আছি।

এ নিয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ের উপ প্রকৌশলী/কার্য মো: শরিফুল ইসলাম বলেন, গাছগুলো রেলওয়ে দেখা শোনা করে। তাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুত অপসারন করা হবে।

এমএস

×