ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নাটোরে

বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন

নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর

প্রকাশিত: ১৯:০৮, ১৪ মার্চ ২০২৩

বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন

বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার হাঁসমারী গ্রামে মাদ্রাসার কর্তৃত্ব নিয়ে সেবা সংঘ নামে একটি ক্লাবে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা। 

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) ভোরে চালানো ওই হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। এ সময় স্থানীয় মশিন্দা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারী ও ইউপি সদস্য আজিমুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। 

স্থানীয় ফখরুদ্দিন, আব্দুল মান্নান, শের মামুদসহ অনেকে অভিযোগ করে জানান, ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হাঁসমারী দারুল উলুম ফোরকানীয়া মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দেন ওই গ্রামের উত্তরপাড়ার সকির উদ্দিনের পুত্র সাইফুল ইসলাম। তখন সভাপতি ছিলেন তারই চাচাতো ভাই  সিরাজুল ইসলাম মাস্টার। কিন্তু তারা মাদ্রাসার কোনো হিসাব নিকাশ দিতেন না। উপরোন্ত গোপনে মাদ্রাসাটিকে এবতেদায়ী মাদ্রাসায় রুপান্তরিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। এলাকাবাসী জানতে পেরে মাদ্রাসাটি পরিচালনার জন্য নতুন কমিটি করেন। কমিটিতে সাইফুল ইসলাম ও অনুসারীরা বাদ পড়েন। এতে ভেতরে ভেতরে ফুসছিলেন সাইফুল ও তার অনুসারীরা। একপর্যায়ে আজ ভোর ৬টার দিকে সাইফুল ইসলাম ও তার ছেলে সানোয়ার হোসেন, ভাই লুৎফর ও তার ছেলে সুজন, সেলিমসহ ১০-১২ জন লাঠিসোটা নিয়ে আশরাফ-মনিরুল অনুসারীদের ওপর হামলা চালায়। 

তারা আরও জানান, হযরত আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩৯) বাধা দিলে তাকে মারধর করে এবং ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হাঁসমারী সেবা সংঘ ক্লাবে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। 

অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। বরং আমার ভাই লুৎফরকে মারধর করা হয়েছে। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মানববন্ধন-বিক্ষোভ করা হয়েছে।

মশিন্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, এ ধরণের ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানাচ্ছি।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মতিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমএইচ

×