
মত বিনিময় সভা
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, কম সময়ে, কম খরচে বিচার প্রার্থীদের ন্যায় বিচার দিতে হবে, তাহলেই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে। বিচারকদের পুরাতন মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে।
শনিবার বেলা ১১ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিচারপতি বলেন, সারাদেশে এই প্রথম গত ১ বছরে ১০০ ভাগেরও বেশি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। বিচারকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কিন্তু কম লোকবলের কারণে মামলার জট নিষ্পত্তি করা সম্ভব নয়। আরও লোকবল দেয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করবো।
তিনি আরও বলেন, দেশের প্রতিটি আদালত চত্তরে ন্যায়কুঞ্জ তৈরি করা হবে। ন্যায়কুঞ্জ তৈরি করতে সরকার ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। ন্যায়কুঞ্জে নারীসহ সকল বিচারপ্রার্থীরা বিশ্রাম নেবেন। জনগণের কথা ভেবেই এই ন্যায়কুঞ্জ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. সেলিম উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আপীল বিভাগের বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কে.এম. হাফিজুল আলম, জেলা ও দায়রা জজ জিয়া হায়দার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমণ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুসরাত জেরীন, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফুর রহমান শিশির। সঞ্চলনায় ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. ফজলে রাব্বী সাগর।
এর আগে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী চুয়াডাঙ্গা আদালত প্রাঙ্গনে আগত বিচার প্রার্থীদের জন্য নির্মিত বিশ্রামাগার “ন্যায়কুঞ্জ” এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, আদালত চত্বরে গাছের চারা রোপণ ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।
এসআর