ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিদ্যালয় মাঠে নির্মাণসামগ্রী ॥ ভোগান্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর

প্রকাশিত: ২২:২১, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

বিদ্যালয় মাঠে নির্মাণসামগ্রী ॥ ভোগান্তি

এভাবেই গুরুদাসপুর উপজেলার সোনাবাজু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে রাস্তা সংস্কারের নির্মাণসামগ্রী ফেলে রাখা হয়েছে

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার সোনাবাজু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে রাস্তা সংস্কারের নির্মাণসামগ্রী ফেলে রাখায় ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থী। এ ছাড়া নির্মাণকাজে ব্যবহৃত সামগ্রী বালুমিশ্রিত পাথর, বালু ও পাথরের খোয়া রাখায় বিদ্যায়ের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও শরীর চর্চা। দীর্ঘদিন ধরে এসব ফেলে রাখায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, প্রায় এক মাস ধরে সোনাবাজু বিদ্যালয় মাঠে এসব নির্মাণসামগ্রী ফেলে রেখেছেন নাটোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পিংকি কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মো. আশফাক জেমস। এতে মাঠজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে পাথরের কুচি।

ফলে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও শরীর চর্চা ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যালয় মাঠের বালু ও পাথরের ধুলোয় পড়াশোনার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে অসংখ্যবার নির্মাণসামগ্রী সরিয়ে নিতে বললেও তা আমলে নিচ্ছে না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ভোগান্তিতে পড়া শিক্ষক শিক্ষার্থীরা এই সমস্য সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান জানান, বিদ্যালয় মাঠে নির্মাণসামগ্রী রাখতে নিষেধ করা হয়েছিল। বাধাও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা মানেননি। 
উপজেলা প্রকৌশলী মো. মিলন মিয়া জানান, সোনাবাজু থেকে নাজিরপুর অভিমুখী ৬ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের জন্য বিদ্যালয়ের মাঠে নির্মাণসামগ্রী রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে  ঠিকাদারকে সেগুলো সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পিংকি কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মো. আশফাক জেমস জানান, রাস্তা সংস্কার সরকারি কাজ।

জায়গা না পাওয়ার কারণে সরকারি রাস্তা সংস্কার কাজের নির্মাণসামগ্রী ওই বিদ্যালয় মাঠে রাখা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় জানান, সমস্যা সমাধান করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা না মানলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

×