ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

গাজীপুরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর

প্রকাশিত: ২২:১০, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২

গাজীপুরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা

পুলিশের সঙ্গে গাজীপুর বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ। 

গাজীপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে পুলিশ ওই মামলায় ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে করাগারে পাঠিয়েছে।

মামলার এজাহারে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের উপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ আনা হয়। মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত অনেককে আসামি করা হয়েছে। 

রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) জিএমপি’র সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইয়েদুর রহমান খান বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।  

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি’র) সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল ইসলাম জানান, শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে গণমিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতা-কর্মীরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় জড়ো হতে থাকে। স্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে এবং সরকার উৎখাত করতে আদালত চত্বর সড়কে মিছিল বের করে। এতে সড়েরক গাড়ি চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছিল। 

এসময় পুলিশ তাদের বাধা দিতে গেলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে এবং পুলিশ বহনে ব্যবহৃত ভাড়া করা লেগুনা ভাংচুর করে গাড়ির চালকের উপর হামলা চালায়। 

এতে সদর থানা পুলিশের কনস্টেবল মিন্টু ও নায়েক জহির উদ্দিন আহত হন। পরে পুলিশ লাঠি-চার্জ করে ও দুই রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠণের ২০ নেতাকর্মীকে আটক করে। পরে যাচাই-বাছাই করে ওই ৮ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

গাজীপুর জেলা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. সফিকুল ইসলাম আকন্দ জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিতে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে আসে। এসময় আদালত চত্বরে শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ নেতা-কর্মীদের বাধা দেয় এবং বিনা উস্কানিতে তাদের উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় নিন্দা জানাই।    

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি’র) সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আরিফ হোসেন জানান, পুলিশের উপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগে ২০ জনকে আটক করা হয়েছিল। তাদের মধ্য থেকে ৮ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অন্যদের বয়স কম থাকায় পিতা মাতার জিম্মায় তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।  

 

এমএম

সম্পর্কিত বিষয়:

×