ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যুবককে জিম্মি করে মেয়ে বিয়ে 

বাবা ও কাজীর ঠাঁই হলো কারাগারে

সংবাদদাতা, লালমোহন (ভোলা) 

প্রকাশিত: ১৮:৩৩, ৩০ অক্টোবর ২০২২; আপডেট: ১৮:৪৫, ৩০ অক্টোবর ২০২২

বাবা ও কাজীর ঠাঁই হলো কারাগারে

মেয়ের বাবা রফিকুল ইসলাম ও কাজী মিজানুর রহমান।

মেয়ে দেখাতে নিয়ে যুবক ও তার পরিবারকে আটক করে জোরপূর্বক অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগে মেয়ের বাবা ও কাজীকে আটক করেছে ভোলার লালমোহন থানা পুলিশ। 

শনিবার রাতে উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর ফুলবাগিচা এলাকার ডাক্তার বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় মেয়ের বাবা রফিকুল ইসলামের জিম্মিদশা থেকে যুবক রাসেল ও তার স্বজনদেরও উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় লালমোহন থানায় বাদী হয়ে রাসেলের ভাবি মোসা. শাহিনা বেগম একটি মামলা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহজালাল রাঢ়ি।

তিনি বলেন, উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেহেরুল্লাহ মুন্সিবাড়ির হাবিব মাস্টারের ছেলে রাসেলের বিয়ের জন্য তার স্বজনরা কয়েকদিন ধরে পাত্রী খুঁজছিল। শনিবার বিকালে লালমোহন ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রফিকুল ইসলামের মেয়ে দেখতে রাসেল ও তার স্বজনরা ওই বাড়িতে যায়।

এসময় মেয়ে দেখে জানতে পারে সে এবছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। মেয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় ছেলে রাসেল তা প্রত্যাখ্যান করে ফিরে আসতে চায়। কিন্তু মেয়ের বাবা রফিক মেয়েকে দেখতে আসা রাসেল ও তার স্বজনদের আটকে রেখে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। বিয়ে করতে না চাইলে ছেলেকে মারপিট করে। ওই ইউনিয়নের কাজী মিজানুর রহমানকে ডেকে নিয়ে তার সহায়তায় রাতেই বিয়ের রেজিষ্ট্রিতে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয় মেয়ের বাবা রফিকুল ইসলাম। বিগত কয়েক বছর ধরে যুবক রাসেল ও তার পরিবার ঢাকার মিরপুরে বসবাস করছে।

এসআই শাহজালাল রাঢ়ি আরো বলেন, এক পর্যায় রাত ১২ টা বেজে গেলে রাসেল ও তার পরিবার জিম্মিদশা থেকে মুক্তি না পেলে তাদের উদ্ধারের জন্য পুলিশের সহায়তা চায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে যুবক রাসেল ও তার পরিবারকে উদ্ধার করে। এসময় আটক করা হয় মেয়ের বাবা রফিকুল ইসলাম ও কাজী মিজানুর রহমানকে। পরে রাতে যুবক রাসেলের ভাবি শাহিনা বেগম বাদী হয়ে মামলা করলে রবিবার সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
 

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×