সংবাদদাতা, সৈয়দপুর, নীলফামারী ॥ সৈয়দপুরে ব্রিটিশ হাতে গড়া রেল কারখানা ও মুঘল স্থাপত্যর আদলে তৈরী রেলওয়ের অবকাঠামা দর্শন ও স্থানিয় দু’টি পার্কে ঈদুল ফিতরে ভ্রমণ পিপাসুদের ঢল নেমেছে।
ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে দর্শনার্থীগন পরিবার নিয়ে তারা ঘুরে বেড়িয়েছেন সৈয়দপুরের ব্রিটিশ রেলওয়ে কারখানা, চিনি মসজিদ, খ্রিষ্টায়ান কবরস্থান, মর্তুজা ইন্সটিউিট, ফিদা আলী ক্লাবসহ রেলের নানা স্থাপনা, সৈয়দপুর বিমান বন্দর, থিম পার্ক ও রংধনু পার্কে। তবে দর্শনার্থিরা বিমোহিত হয়েছেন রেল-কারখানা ও প্রাকৃতিক সাজে সজ্জিত রংধনু পার্কে।
এ শহরের পৌর ১১ নং ওয়ার্ডের কুন্দল পশ্চিমপাড়া এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া খড়খড়িয়া নদীর তীরে অবস্থিত রংধনু পার্ক। বাক খেয়ে ঘোরানো নদীটির ধারে সারিবদ্ধ বৃক্ষ ও জলরাশির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভিন্ন আর্কষন টানছে ভ্রমন পিপাসুদের। আর এ দৃশ্য অবলোকনে দিনাজপুর, নীলফামারী ও রংপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন শতশত মানুষ ভীড় করছে এখানে।
এছাড়া দেড়শত বছর পুর্বে ব্রিটিশদের হাতেগড়া প্রায় ৮শত একর জমির ওপর সজ্জিত সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় সংরক্ষিত একটি বাষ্পিয় ব্রড-গেজ ইঞ্জিন, কারখানা জাদুঘর ও সংরক্ষিত অন্যন্য লোকোমোটিভ, ২৫ টি উপ-কারখানা এখন নজর কাড়ছে। এর ভিতরের জাদুঘরে ইংরেজ আমলে ব্যবহৃত প্রেসিডেন্ট সেলুন কোচসহ বিভিন্ন মালামাল ও যন্ত্রপাতি সংরক্ষিত রয়েছে। তৎকালীন ব্রিটিশ রানি এই কোচে পুরো ভারত সফর করেছেন রেল পথে। সংরক্ষিত লোকোমোটিভ বা রেল ইঞ্জিনগুলো ভিন্ন মাত্রা আনন্দ যোগ করেছে।
আজ শুক্রবার রেলকারখানা বন্ধ থাকলেও অন্যন্য ঐতিহামিক স্থান, পার্ক ও অন্যন্য বিনোদন কেন্দ্রে হাজার হাজার ভ্রমণকারী ছুটছেন। কথা হয় সৈয়দপুর সেনানিবাস এলাকার আবুল হোসেন দম্পত্তির সাথে। তারা জানান, ঈদের ছুটি কাটাতে এ শহরের দর্শনীয় স্থান গুলো যথেষ্ট। আমরা সময়ের অভাবে অনেক স্থান ঘুরতে পারিনি। তাই ছুটির কদিন শধু ঘোরাঘুরি চলবে। অটো চালক আলমগীরসহ অন্যন্যরা জানান, সৈয়দপুরের দর্শনীয়স্থান গুলোকে ঘিরে ভ্রমণকারীদের ভিড় থাকবে শনিবার পর্যন্ত। তাই আমরাও ভাল রোজগারের আশা করছি। তবে ন্যায্য ভাড়া নিয়েই তাদেরকে গন্তব্যে পৌছে দিচ্ছি।
সৈয়দপুর থানার অফিসার্স আবুল হাসনাত খান জানান, বিনোদন কেন্দ্রো ও ঐতিহাসিক স্থানগুলো ভ্রমনকারিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।