সংবাদদাতা, পাথরঘাটা, বরগুনা ॥ আজ শুক্রবার পাথরঘাটা ডিগ্রি কলেজের নৈশ প্রহরী জাহাঙ্গীর (৪৪) কে দায়িত্বরত অবস্থায় র্যা ব পরিচয় দিয়ে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে পটুয়াখালী র্যা ব-৮ এর কমান্ডার মো.সুরাত আলম ঘটনাটি অস্বীকার করেন।
অপহৃত জাহাঙ্গীরের বাবার নাম মৃত ফখরুদ্দিন। পৌরশহরের ৮নং ওয়াডের্র কলেজ সংলগ্ন তাদের বাড়ি। পাথরঘাটা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ওর তো কোনো শত্রু নেই ও কেনো অপহরনের শিকার হল জানিনা। এঘটনায় আজ শুক্রবার বেলা ১০টায় কলেজ অধ্যক্ষ’র কক্ষে একটি জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা হুমায়ুন কবির, ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলাম সহ সকল শিক্ষক ও কলেজ গভর্নিং বডির সদস্যবর্গ ওই সভায় যোগ দেন এবং অপহৃত জাহাঙ্গীরকে উদ্ধারের জন্য প্রসাশনের কাছে জোরদাবি জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমাউন কবির ফোনে বলেন,বিষয়টি নিয়ে আমি বরগুনা জেলা প্রসাশক মহোদ্বয়ের সাথে কথা বলেছি। আমরা আমাদের চেষ্টা চালাচ্ছি বাকিটা সংশ্লিষ্ট মহল খতিয়ে দেখছেন। পাথরঘাটা থানার (ওসি তদন্ত) নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রচেষ্টা অব্যহত আছে। ঘটনার সময় ওই কলেজে জয়নাল ও জাহাঙ্গীর নামের দু’জন নৈশপ্রহরী দ্বায়িত্বরত ছিলেন। নৈশপ্রহরী জয়নাল জানান, আমরা প্রতিদিনের মত নিয়মিত রাতজেগে পাহাড়া দিতেছিলাম। আমরা ছিলাম পশ্চিম পাশের রুমে। হঠাৎ কে বা কারা দরজা খুলতে বলে। আমরা পুলিশের লোক মনেকরে দরজা খুলে দেই। ২/৩জন লোক কথা বলতে বলতে জাহাঙ্গীরকে নিয়ে পূর্বদিকে চলে যায়। আমি ডাক দেই জাহাঙ্গীর কোনো কথা বলেনা। কিন্তু‘ পিছনের এক ব্যক্তি বলে ওঠেন ’আমরা র্যা বের লোক’। তারপর দুটি মোটরসাইকেল এর একটিতে জাহাঙ্গীরকে তুলে নিয়ে উত্তর দিকে চলে যায় বলে জানান জয়নাল। অপহৃত জাহাঙ্গীরের বড় ভাই ওই কলেজের অফিস সহকারি আলমগীর জানান, পুলিশকে আমরা জানিয়েছি এবং পুলিশ আমার ভাইকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও জানান তিনি।পটুয়াখালী র্যা ব-৮ এর কমান্ডার সুরাত আলমা জানান,আমাদের কোন সদস্য কাল রাতে কোন অপারেশনে জায়নি।এব্যাপার আমি আপনার নিকট থেকে প্রথম শুনলাম ব্যাপারটি দেখছি।
