স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ চাকুরী দেওয়ার নামে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করে এক কোটি ৬২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ও কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের কর্মচারীসহ প্রতারকচক্রের ৯ জনকে আটক করেছে র্যাব-১ এর স্পেলাইজড কোম্পানীর সদস্যরা। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেট কার, নগদ টাকা ও কয়েকটি মোবাইল সেট জব্দ করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলো- বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের ফিল্ড এ্যাসিস্ট্যান্ট মোঃ ফারুক হোসেন(৩৫), বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রকল্পের সাবেক কর্মচারী মোঃ মেহেদী হাসান(২৭), মোঃ শরীফ সেলিম (৩২), মোঃ এনামুল হক মামুন(২৮), কার্তিক ঘোষ(২৬), মোঃ বাপ্পি হোসেন (২৮), সাঈদ (২৫), মোঃ হাবিবুর রহমান(২৫) ও মোঃ সুজন মিয়া(৩৫)।
আটককৃতদের মধ্যে মো. এনামুল হক মামুন গাজীপুর মহানগরের ৩১ নং ওয়ার্ডের বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদের সভাপতি এবং আটক ফারুকের ছোট ভাই বলে জানা গেছে।
র্যাব-১ এর স্পেলাইজড কোম্পানীর কোম্পানী কমান্ডার মোহাম্মদ মহিউল ইসলাম জানান, গাজীপুরস্থিত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের ফিল্ড এ্যাসিস্ট্যান্ট ফারুক দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের উচ্চ পদের অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জনের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। ফারুক ও তার সহযোগীরা বাংলাদেশ ধান গবেষণা ও কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটে চাকুরীতে নিয়োগ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জেলায় তাদের এজেন্টের মাধ্যমে প্রার্থী সংগ্রহ করে। এসব বেকার যুবক প্রার্থীদের কাছ থেকে ওই প্রতারক চক্রের সদস্যরা মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে ভ’য়া নিয়োগপত্র দেয়।
তারা মোট ১৮ জন বেকার যুবকদের মধ্যে প্রতি জনের নিকট হইতে সর্ব নিন্ম ৯ লাখ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১১ লাখ ২০ হাজার টাকা করে সর্বমোট এক কোটি ৬২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে ওই যুবকদের বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে আশপাশে মেসে (ভাড়া বাসায়) আটকিয়ে রাখে। এ গোপন খবর পেয়ে র্যাব-১ স্পেলাইজড কোম্পানীর সদস্যরা সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাঠ থেকে প্রতারক চক্রের ৯ সদস্যকে আটক করে। এ সময় ২০জন ভিকটিম, ১৯টি মোবাইল ফোন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ ১৫টি ভূয়া নিয়োগপত্র, একটি প্রাইভেটকার ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, গাজীপুরস্থিত বাংলাদেশ ধান গবেষনা ও কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারকচক্রটি বিভিন্ন কৌশলে দেশের বিভিন্ন এলাকার প্রায় অর্ধশত বেকার যুবকদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেছে। এঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: