ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

একটা পরিবর্তন দরকার - ইশরাক হোসেন

প্রকাশিত: ০৭:০৬, ২২ জানুয়ারি ২০২০

একটা পরিবর্তন দরকার - ইশরাক হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা শহরটাকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে বলে মন্তব্য করে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেছেন, এই ধ্বংসাত্মক অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের একটা পরিবর্তন দরকার। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে হাজারীবাগের ঝাউচর বাজার থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে বেলা এগারোটা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে ঝাউচর বাজারে একত্রিত হন। এসময় তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয়ার পাশাপাশি বিএনপির মেয়র প্রার্থীর জন্য ধানের শীষে ভোট চান। পরে ইশরাক হোসেন ৫৫, ৫৬, ৫৭, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০ ও ৩১ নং ওয়ার্ড এলাকায় গণসংযোগ করেন। নির্বাচনী প্রচারকালে ইশরাক হোসেন পুলিশকে জনগণের পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার আমাদের ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র প্রার্থীর প্রচারণায় পেছন থেকে ন্যাক্কারজনকভাবে হামলা চালানো হয়। এখন পর্যন্ত একজনকেও গ্রেফতার হতে দেখলাম না। আমি পুলিশ-প্রশাসনকে বিনীত অনুরোধ করবো, আপনাদের যে গুরুদায়িত্ব আছে সেটা আপনারা পালন করুন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আপনাদের উপর যে সাংবিধানিক দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সেটা আপনারা পালন করুন। আপনারা জনগণের পক্ষে কাজ করুন। ইশরাক বলেন, আজকে এ শহরটাকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। এই ধ্বংসাত্মক অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের একটা পরিবর্তন দরকার। ১ ফেব্রুয়ারি একটা সুবর্ণ সুযোগ এসেছে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের অঙ্গীকার ছিল জনগণ হবে ক্ষমতার মালিক, জনগণ হবে রাষ্ট্রের মালিক, এই অধিকারকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করার একটা সুযোগ এসেছে আমাদের সামনে। আমরা জনগণের রায় নিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি বিজয় উৎসব করবো। ইশরাক বলেন, আজকে যারা ক্ষমতাসীন আছেন তারা এই দেশটাকে দখল করে রাখছেন। অন্য যারা আছে তাদের কোন কথা বলার অধিকার নেই, ভোটের অধিকার নেই। আমরা বলে দিতে চাই, এটা আর আমরা মানবো না। নির্বাচনী প্রচারে কোন বাধা আমরা মানবো না। ঢাকা শহরে কোন সন্ত্রাসীদেরকে আমরা স্পেস দেব না। এই দেশটা আমাদের সবার। আমরা কারো জমিদারিত্ব মানবো না। বিভিন্ন স্থানে ধানের শীষ প্রতীকের গণসংযোগ ও সভা-সমাবেশে বাঁধা দেয়া হচ্ছে অভিযোগ করে ইশরাক হোসেন বলেন, আজকেও এখানে আসার আগে আমাদের প্রচারে বাধা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমি সংশিষ্টদের সতর্ক করে বলে দিতে চাই, আমি ইশরাক হোসেন একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। কোন ষড়যন্ত্র বাঁধা মানবো না। ঢাকা শহর হবে শান্তির জনপদ। ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী প্রচারকালে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর এমাজউদ্দিন আহমেদ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবীব-উন-নবী খান সোহেল, দলের নেতা মীর সরাফত আলী সপু, কাজী আবুল বাশার প্রমুখ। ইশরাক হোসেনের প্রচারে অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রবীণরা যেসব জায়গায় ব্যর্থ হয়েছেন সেসব জায়গায় সফলতার মাধ্যমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন মানুষের স্বপ্ন পূরণ করবেন বলে আশা করছি। আমি অত্যন্ত আনন্দিত এ কারণে যে, আজকে যোগ্য প্রার্থী মাঠে ঘাটে কথাবার্তা বলে চলেছেন। ইশরাক হোসেন যোগ্য প্রার্থী, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছেন। আমরা মনেপ্রাণে সবাই মিলে এ আশা পোষণ করি যে, আমরা বয়স্ক বৃদ্ধরা যেখানে ব্যর্থ হয়েছি, ইশরাক হোসেনের মাধ্যমে আমরা সেটা পূর্ণ করব। এমাজউদ্দিন বলেন, আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অর্জন করেছি, সেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সুসম্পন্ন করার জন্য যা প্রয়োজন, তা হলো বিভিন্নভাবে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে পারষ্পরিক সমঝোতার মধ্য দিয়ে জনগণের অধিকারকে ফিরিয়ে আনা। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াা শুধুমাত্র দেশনেত্রী নন, তিনি দেশের স্বাধীনতার প্রতীক। তিনি ২ কোটি টাকার একটি পয়সাও খরচ করেননি। সেটি এখন অনেক বেড়েছে। কিন্তু তাকে অন্যায়ভাবে কারাগারে রাখা হয়েছে। তাকে আমরা মুক্ত করতে চাই। এ জন্যই ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে বিজয়ী হতে চাই।
×