স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ব্রাজিলিয়ান সিরি-বি ক্লাব মোগি মিরিমের মাধ্যমে আবারও ফুটবলে ফিরছেন বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিল দলের অবসরে যাওয়া সদস্য রিভালদো। গত বছর মার্চে ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছিলেন ৪৩ বছর বয়সী রিভালদো। কিন্তু মোগি মিরিমের মাধ্যমে তার আবারও মাঠে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত অনেককেই বিস্মিত করেছে। বর্তমানে তিনি ক্লাবটির সভাপতির দায়িত্বে আছেন। নিজের ফেসবুক পেজে রিভালদো বলেছেন, ‘অনেক কিছু চিন্তাভাবনার পর আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি মোগি মিরিমের দলের হয়ে আবারও মাঠে নামার। এর অর্থ এই নয় যে আমি নিয়মিত খেলতে যাচ্ছি। কারণ দীর্ঘদিন ধরে আমি খেলার বাইরে রয়েছি, বর্তমানে সংগঠক হিসেবে ক্লাবের সাথে আছি। ১৫ মাস আগে পেশাদার ফুটবল থেকে বিদায় নিয়েছিলাম। যদি হাঁটু ঠিক থাকে তবে কয়েকটি ম্যাচে আমি শুধুমাত্র সহযোগিতা করতে পারি। অনুশীলনেই মূলত সবকিছু চূড়ান্ত হবে।’
সম্প্রতি ঘরের মাঠে কিছু ম্যাচের টিকিটের মূল্য ৬ মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৩০ ডলারে উন্নীত করায় মোগি মিরিমের সমর্থকরা রিভালদোর ওপর বেশ চটেছে। প্রথম আট ম্যাচে মাত্র তিন পয়েন্ট অর্জন করায় সিরি-বি টেবিলের একেবারে নিচে অবস্থান করছে মোগি মিরিম। ব্রাজিলের অন্যতম সেরা ফুটবলার হিসেবে পরিচিত রিভালদো ২০০২ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। বার্সেলোনার সাবেক এই তারকা ১৯৯৯ সালে ফিফা ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন। ২০০২ বিশ্বকাপের সিলভার বুটজয়ী ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রিভালদো ফুটবলকে গতবছর বিদায় জানিয়েছিলেন। ১৯৯১ সালে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। ২৪ বছরের লম্বা ক্যারিয়ারের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করেন। ২০০২ বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে শিরোপা এনে দিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ড জাদুকর। অবসরের সময় বলেছিলেন, ‘আমার খেলোয়াড়ি জীবনের ইতিবৃত্তের সমাপ্তি হচ্ছে। খেলোয়াড় হিসেবে আমি যে ভালবাসা পেয়েছি সেজন্য অশ্রুসিক্ত চোখে আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই আমার পরিবার ও সকলের সমর্থনকে। এই বছরগুলোতে আমি আমার অসাধারণ ক্যারিয়ারের জন্য গর্বিত। অনেক বাধা, চ্যালেঞ্জ, পরিত্যাজ্যতা, আকাক্সক্ষা, হতাশা ছিল। কিন্তু তার চেয়েও বেশি আনন্দ, অর্জন ও পরিবর্তন উপভোগ করেছি।’ খেলোয়াড়ি জীবনে সম্ভাব্য সকল শিরোপাই জিতেছেন তিনি। ১৯৯৯ সালে জিতেন ব্যালন ডি’অর, একই বছর জিতেন ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের খেতাব। বার্সার হয়ে জিতেন লা লিগা, কোপা দেল রে। ২০০২ ফিফা অল স্টার দলের সদস্য ছিলেন, ১৯৯৯ কোপা আমেরিকার সর্বোচ্চ গোলদাতা ও ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল’ ফুটবলার ছিলেন। ২০০০ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতার খেতাবটাও তারই।