ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

আজ থেকে রামেকে করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা শুরু হচ্ছে

হোম কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা কমছে, বাড়ছে মুক্তির হার

প্রকাশিত: ১০:৪২, ১ এপ্রিল ২০২০

হোম কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা কমছে, বাড়ছে মুক্তির হার

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ করোনাভাইরাস সন্দেহে হোম কোয়ারেন্টাইন থাকা মানুষের সংখ্যা কমছে। বাড়ছে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্তি পাওয়া মানুষের সংখ্যা। মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশে চার হাজার ৪৯২ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে রাজশাহীতে ৫৫০, গাইবান্ধায় ২০৬, নীলফামারীতে ১৬২, কিশোরগঞ্জে ১৮০, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ৪০, সিলেট বিভাগে এক হাজার ২৩৩, ফরিদপুরে এক হাজার ৬৭৫, হবিগঞ্জে ৩৩৯, খাগড়াছড়িতে ৩৬ ও কুড়িগ্রামে ৭১ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। আর হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ করে ছাড়পত্র পেয়েছেন রাজশাহীর ৫০৪, গাইবান্ধার ২০, সিলেট বিভাগের এক হাজার ৮২৯, ফরিদপুরের ১৬৪, হবিগঞ্জের ৭৬১, খাগড়াছড়ির ১২৭ ও কুড়িগ্রামের ২৬০ জনসহ প্রায় চার হাজার জন। -খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের। রাজশাহীতে নতুন করে আরও ৫৭ জনকে চিহ্নিত করে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫৫০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ এনামুল হক জানান, জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনের মধ্যে কেবল সিটি কর্পোরেশন এলাকাতেই রয়েছেন ১৭৩ জন। তবে এখনও রাজশাহীতে কোন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি। এ অবস্থায় আজ বুধবার থেকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে (রামেক) করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। ঢাকার বাইরে রাজশাহীতেই করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। এখানে বিভাগের আট জেলার মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হবে। প্রতিদিন সর্বোচ্চ আটজনের নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। এদিকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দেয়া তথ্যানুযায়ী, জেলায় নতুন করে কোয়ারেন্টাইনে ৫৭ জনের মধ্যে ভারত থেকে এসেছেন ৪৫ জন, সৌদি আরব থেকে একজন, মালয়েশিয়া থেকে একজন, ব্রুনাই থেকে একজন, আমেরিকা থেকে একজন, আলজিরিয়া থেকে একজন ও ঢাকা থেকে এসেছেন সাতজন। তিনি আরও জানান, গত ১ মার্চ থেকে রাজশাহীতে ৯৯৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ দিন শেষ হওয়ায় ৫০৪ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫৫০ জন। গাইবান্ধা ॥ করোনাভাইরাসে গাইবান্ধায় মঙ্গলবার নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার কোন খবর পাওয়া যায়নি। তবে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোন প্রমাণ না পাওয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। নতুন করে ছয়জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদিকে এখন পর্যন্ত আমেরিকা প্রবাসী দু’জনসহ তার সংস্পর্শে আসা আরও দুজনসহ চারজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এর মধ্যে তিনজন গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ও অপরজন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আইসোলেশনে রয়েছেন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ২০৬ ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। এর মধ্যে সদরে ৪৬, ফুলছড়িতে ১০, সুন্দরগঞ্জে ৪৬, সাঘাটায় ১৩, পলাশবাড়িতে ৭, গোবিন্দগঞ্জে ৪০ ও সাদুল্যাপুর উপজেলায় ৪৪ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। এছাড়া জেলা সদর হাসপাতালে একজনকে সন্দেহজনক হিসেবে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। নীলফামারী ॥ নীলফামারীতে বিদেশ ফেরত ১৬২ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোন ব্যক্তি যুক্ত হয়নি। ইতোমধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইন সম্পন্ন হয়েছে ১৭৬ জনের। তারা সবাই সুস্থ আছেন। জেলায় এখন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের সংখ্যা কমছে। কিশোরগঞ্জ ॥ কিশোরগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪২ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১৮০ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন চারজন। এর মধ্যে অষ্টগ্রামে একজন, নিকলীতে একজন এবং ভৈরবে দুজন। এদিকে কোয়ারেন্টাইনের ১৪ দিনের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ৭৫ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে মোট ৯৯১ জন কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র পেলেন। তাদের মধ্যে করোনাভাইরাসের কোন লক্ষণ দেখা যায়নি। গফরগাঁও ॥ ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৫১ প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে করোনাভাইরাসের কোন লক্ষণ নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গফরগাঁওয়ের ৪৬৫ প্রবাসী গত ১ মার্চের পর দেশে আসেন । উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের মধ্যে ২৯১ জনকে খুঁজে পায়। বাকি ১৭৪ জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাইন উদ্দিন খান মানিক জানান, উপজেলায় ২৯১ জনকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। তাদের মধ্যে ২৫১ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। ৪০ জন এখনও হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। সিলেট ॥ সিলেট জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন কাউকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়নি। তবে সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে আরও ২৮ জনকে। স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেটের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডাঃ আনিসুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়াদের মধ্যে সুনামগঞ্জে ১৪ জন, হবিগঞ্জে ১০ জন এবং মৌলভীবাজারে চারজন রয়েছেন। তবে সিলেট জেলায় নতুন করে কাউকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়নি। সব মিলিয়ে সিলেট বিভাগে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয় তিন হাজার ৬২ জনকে। এদের মধ্যে এক হাজার ৮২৯ জনকে এখন পর্যন্ত ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। লালমনিরহাট ॥ ঢাকার একটি দোকানে কাজ করতেন মাসুদ (৩০) ও আল-আমিন (২৮)। তারা দুজন বন্ধু ছিল। আল-আমিন শনিবার রাত আটটায় শ্বাসকষ্ট ও জ্বর নিয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে মারা যান। তার বাড়ি নওগাঁর রাণীনগরের কালীগ্রাম ইউনিয়নের অলংকারদীঘি গ্রামে। তিনি মোখলেসুর রহমানের ছেলে। নিহত আল-আমিন মাসুদের বন্ধু ছিল, একসঙ্গে ঢাকায় কাজ করেছে- এই খবর মাসুদের নিজবাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারীর দুর্গাপুরের খানচওড়া গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। প্রচার হয় মাসুদ করোনা আক্রান্ত। মঙ্গলবার পুলিশ, গোয়েন্দা ও স্বাস্থ্যকর্মীরা তাকে খুঁজতে মাঠে নামে। অবশেষে তার খোঁজ পায়। গিয়ে দেখে মাসুদ নিজবাড়িতে নিজ উদ্যোগে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায় জানান, মাসুদ যেহেতু ঢাকায় থাকতেন, তাই তাকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তার সতীর্থ আল আমিন শ্বাসকষ্টে মারা গেছেন। মাসুদের পরিবার ও গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিতে চাই না। মাঠপর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে। রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস জানান, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) নয়, ব্রেন ইনফেকশনে তরুণ আল-আমিনের মৃত্যু হয়েছে। দীর্ঘসময় জ্বর থাকায় আল-আমিন ব্রেন ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়েছিল। ফরিদপুর ॥ ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মোঃ ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। এ নিয়ে বর্তমানে জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে এক হাজার ৬৭৫ জন। এদিকে কোয়ারেন্টাইনের সময়সীমা পার করায় মঙ্গলবার আরও ১৬৪ জনকে মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত এক হাজার ৬২ জনকে মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। ফরিদপুরে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসজনিত রোগী পাওয়া যায়নি। এদিকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাসজনিত রোগী পরীক্ষা করার জন্য একটি ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা জোরদার করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মোঃ সাইফুর রহমান জানান, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাসজনিত রোগীর পরীক্ষা করার জন্য একটি ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা স্বাস্থ্য সচিবের কাছে পাঠিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ এসএম খবিরুল ইসলাম। ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সাংসদ খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগী পরীক্ষার জন্য একটি ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন। সাংসদ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আগামী দুই এক দিনের মধ্যেই ফরিদপুরে এ সংক্রান্ত ল্যাবটি চালু করা সম্ভব হবে। ফরিদপুরে মঙ্গলবার পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত কোন রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। এদিকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা জোরদার করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জেলা বিএমএ সভাপতি আ স ম জাহাঙ্গীর চৌধুরী বলেন, তিনি মঙ্গলবার প্রথমে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিকৎসকবৃন্দ এবং পরবর্তীতে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকবৃন্দের সঙ্গে হাসপাতাল দুটি সব ধরনের রোগীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষে পরামর্শ দিয়েছেন। জেলায় পিপিই এর কোন সঙ্কট আপাতত নেই। ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মঙ্গলবার পর্যন্ত সর্দি, জ্বর, গলাব্যথা জাতীয় উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া এক রোগীর চিকিৎসা চলছে। তবে তার মধ্যে করোনাভাইরাসজনিত কোন সমস্যা দেখা যায়নি। হবিগঞ্জ ॥ মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৩৩৯ জন। কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে ৭৬১ জনের। জেলা পর্যায়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জেলা প্রশাসক বলেন, করোনায় আতঙ্কিত না হয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। জনসমাগম এড়িয়ে চলার পাশাপাশি সকলকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে এবং চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করা হচ্ছে। কুড়িগ্রাম ॥ জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনসহ ৭১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে ২৬০ জনের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে। জানা গেছে, জেলার ৯ উপজেলায় ৫৪০ প্রবাসী এসেছেন। এদের মধ্যে ৩৩১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন করতে সক্ষম হয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। মঙ্গলবার কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডাঃ হাবিবুর রহমান জানান, যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন তারা সবাই সুস্থ রয়েছেন। তিনি জানান, করোনা মোকাবেলায় প্রস্তুতি হিসেবে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় এক হাজার ৬৮৫ পিপিই, মাস্ক ও গ্লাভস পেয়েছি। যা জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১০ এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে আরও ৪০টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খাগড়াছড়ি ॥ খাগড়াছড়িতে বিদেশফেরত ২৫৫ জনের মধ্যে নতুন আরও দুজনসহ ১৬৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে। তবে তার মধ্যে করোনাভাইরাসের কোন লক্ষণ না পাওয়ায় ১২৭ জনকে ছাড়পত্র দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে ৩৬ জন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডাক্তার নুপুর কান্তি দাশ।
×