ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ২৯ হাজার শিক্ষকের পদ শূণ্য : সংসদে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ২৯ হাজার শিক্ষকের পদ শূণ্য  :  সংসদে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালগুলোর প্রায় ২৮ হাজার ৮৩২ জন শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদের সংখ্যা ৭ হাজার ১৮টি। সহকারি শিক্ষকের শূন্যপদ ২১ হাজার ৮১৪ জন। সহকারি শিক্ষকের শূন্যপদ পুরণে ইতোমধ্যে চুড়ান্ত নির্বাচিত প্রার্থীদের যোগদানের জন্য পরিপত্র জারি করা হয়েছে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের ৬৪টি জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ৭ হাজার ১৮টি পদ শূন্য রয়েছে। এরমধ্যে পদোন্নতি যোগ্য শূন্যপদ ৪ হাজার ১৬৬টি, সরাসরি নিয়োগের যোগ্য শূন্যপদ ২ হাজার ৮৫২টি। ২৫ শতাংশ বা সরাসরি নিয়োগের জন্য ৩৭তম বিসিএস হতে পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগের জন্য ২০১৯ সালের ২৬ জন প্রয়োজনীয় তথ্য বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের নির্ধারিত ফরমে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষকপদে পদোন্নতির বিষয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৩, অধিগ্রহনকৃত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (চাকরির শর্তাদি নির্ধারণ) বিধিমালা-২০১৩ ও নন ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারী জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিধিমালা-২০১১ নীতিমালা অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি প্রদান করা হয়। তবে আদালতে মামলা থাকায় প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি বন্ধ রয়েছে। তবে জ্যেষ্ঠ সহকারি শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষকদের চলতি দায়িত্ব প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ৬১টি জেলায় সহকারি শিক্ষকের ১৮ হাজার ১৪৭টি পদ পুরণের জন্য ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর চুড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের নিয়োগপত্র জারি করা হয়েছে। যথাশীঘ্রই এসব শিক্ষক যোগদান করবেন। এছাড়া তিন পার্বত্য জেলায় জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে স্থানীয়ভাবে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়।
×