ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পৌষের শুরুতেই শীত অনুভূত

প্রকাশিত: ১০:১৪, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯

 পৌষের শুরুতেই শীত অনুভূত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। পৌষ মাস যেন সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। অনুভূত হচ্ছে শীত। কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাস বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের তীব্রতা। দেশের সবক’টি জেলাতেই সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য হ্রাস পেয়েছে, যা গ্রামাঞ্চলে বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের তীব্র শীতের অন্যতম কারণ। রাজধানীতে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা খুব বেশি কমেনি। তবে সর্বোচ্চ ও নিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য হ্রাস পেতে শুরু হওয়ায় রাজধানীতেও অনুভব হচ্ছে হাল্কা শীত। শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে পড়েছে ছিন্নমূল ও দরিদ্র মানুষ। তবে বিভিন্ন এলাকায় সরকারী উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদফতর আরও জানায়, রবিবার ঢাকার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৫ ও ১৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। পার্থক্য ছিল মাত্র ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কক্সবাজারে ৩০.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেতুলিয়ায় ৮.৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। সোমবার দেশের অধিকাংশ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে অবস্থান করে। এভাবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রাজশাহীতে ১৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস, ঈশ্বরদীতে ১৩.৮ ডিগ্রী সেঃ, সৈয়দপুরে ১১.৫ ডিগ্রী সেঃ, দিনাজপুরে ১১.১ ডিগ্রী সেঃ, বগুড়ায় ১৪.৮ ডিগ্রী সেঃ, শ্রীমঙ্গলে ১১.৯ ডিগ্রী সেঃ, ময়মনসিংহে ১৪.৮ ডিগ্রী সেঃ, রংপুরে ১২.৫ ডিগ্রী সেঃ, রাজারহাটে ১০.৫ ডিগ্রী সেঃ রেকর্ড হয়েছে। তেঁতুলিয়ায় শীত বেড়েছে স্টাফ রিপোর্টার পঞ্চগড় থেকে জানান, তেঁতুলিয়ায় আবারও তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। গত শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে ছিটে-ফোটা বৃষ্টির পর তাপমাত্রা বেড়ে সর্বনিম্ন ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস হলেও রবিবার সকালে সর্বনিম্নœ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস আর বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আবারও হঠাৎ করে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় জেঁকে বসেছে শীত, বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়ের জনজীবন। বিশেষ করে হিমালয় কন্যা খ্যাত তেঁতুলিয়ায় ঘনকুয়াশা পড়েছে, ভোররাতে হিমেল হাওয়ার সঙ্গে শিশির পাতও হয়েছে। এখানে দেশের সর্বনিম্নœ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। রবিবার সকাল ৯টার পর মেঘের ফাঁক গলিয়ে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও তা ছিল ক্ষণিকের জন্য। শৈত্যপ্রবাহ যে আসছে তারই পূর্বাভাস বলে আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন। আবহাওয়ার বিরুপ প্রভাবে বিকেলের পর সড়কে যানবাহন চলাচলও কমে যায়। শিশু ও বৃদ্ধদের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছে।
×