ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শাহাব উদ্দিন মাহমুদ

বিজয় সময়ের ব্যাপার! - ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১

প্রকাশিত: ০৯:৩৮, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯

 বিজয় সময়ের ব্যাপার!  - ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দিনটি ছিল মঙ্গলবার। এই দিন যৌথ বাহিনী ফরিদপুর থেকে ঢাকার পথে মধুমতি নদী অতিক্রম করে। দ্রুত ঢাকা পৌঁছানোর জন্য মিত্র বাহিনীর দুটি ব্রিগেড শত্রুর অবস্থান এড়িয়ে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে নদী পার হয়। এ কাজে স্থানীয় জনগণ যৌথ বাহিনীকে সক্রিয়ভাবে সাহায্য করে। মিত্রবাহিনী পারাপারের জন্য শত শত নৌকার বন্দোবস্ত করে সারা রাত ধরে তাঁদের নদী পার করে। এদিকে যৌথ বাহিনীর একটি ব্রিগেড মানিকগঞ্জে পাক অবস্থানের ওপর আক্রমণ করে এবং মানিকগঞ্জকে শত্রুমুক্ত করে সাভারের দিকে এগিয়ে আসে। যৌথ বাহিনী ঢাকার অদূরে টঙ্গীর ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তুরাগের পাড়ে পাকবাহিনীর মুখোমুখি হয়। শত্রুসৈন্যরা এখানে শক্তিশালী প্রতিবন্ধকতা গড়ে তুলেছিল। কেননা টঙ্গী হচ্ছে উত্তর দিক থেকে ঢাকায় প্রবেশের পথ। অপরদিকে ঢাকার পশ্চিম-উত্তর সীমানা বরাবর চন্দ্রা-সাভার-মীরপুর অঞ্চল ধরে রাজধানীর দিকে এগিয়ে আসতে থাকে যৌথবাহিনীর আর একটি ব্রিগেড। ঢাকার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে শীতলক্ষ্যার পাড়ে ডেমরায় যৌথবাহিনী পাক প্রতিরোধ ব্যুহের ওপর আঘাত হানে। আর একটি দল শীতলক্ষ্যা পার হয়ে রূপগঞ্জ মুক্ত করে। হেলিকপ্টারে করে যৌথবাহিনী গোমতী পার হয়ে মেঘনা তীরবর্তী বৈদ্যেরবাজারে অবস্থান নেয়। চট্টগ্রাম সেক্টরে মুক্তিবাহিনী কুমিরা ঘাঁটির পতন ঘটিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের দিকে যাত্রা শুরু করে। হানাদার বাহিনীর একটি ব্রিগেড কক্সবাজার হয়ে স্থলপথে বার্মায় পালাবার পথে মুক্তিবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। কুমিল্লার মন্দভাগ এলাকায় যুদ্ধরত ছিলেন তিন ভাই-বদিউজ্জামান, করিমুজ্জামান ও শাহজাহান। মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে বড় ভাই বদিউজ্জামান তাঁদের ৯৮ রামকৃষ্ণ মিশন রোডের বাড়িটি পরিণত করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটিতে। ১০ ডিসেম্বর ছোট দুই ভাই ঢাকায় এসে ভোর রাতে বাড়িতে দেখা করতে আসেন। ১৩ ডিসেম্বর আলবদর বাহিনী তাঁদের ধরে নিয়ে যায় এবং পরে রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে পাওয়া যায় তিন ভাইয়ের লাশ। ময়মনসিংহ শহর থেকে পলায়নরত প্রায় ১০০ জন পাকসেনার একটি দল ভালুকা থানার পাড়াগাঁও এলাকার গভীর জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। মেজর আফছারের তৃতীয় ছেলে সেকশন কমান্ডার নাজিমউদ্দিন কিছুসংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা মিলে উক্ত পাক সেনাদেরকে আক্রমণ করে। দুই ঘণ্টা তুমুল যুদ্ধের পর নাজিমউদ্দিন আহত হয়। সকাল ১০ টায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ২টি যুদ্ধ বিমানযোগে রাঙ্গামাটি জেলার বরকলে পাকবাহিনীর সামরিক অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। সেখানে ৭৫০ জন পাক সেনার সুদৃঢ় অবস্থান ছিল। অন্যদিকে মিত্র ও মুক্তিবাহিনীরা জৈলানন্দ সিং এবং সুলতান আহমদ কুসুমপুরীর নেতৃত্বে প্রায় ৫০০ মুক্তিযোদ্ধা বরকল অভিমুখে অগ্রসর হতে থাকে। অন্যদিকে ফারুয়ায় অবস্থানরত ছদ্মবেশী পাঞ্জাবীরা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে টহলদার গানবোটযোগে ফারুয়া থেকে বরকলের দিকে এগোনোর সময় মুক্তিবাহিনীর এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী গ্রুপের ওপর আচমকা আক্রমণ করলে বেশ কিছু সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত বরণ করেন। মুক্তিযোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণ করলে পাঞ্জাবীরা পালিয়ে যায়। এই দিন মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর সর্বাত্মক হামলার মুখে পাকসেনারা দিনাজপুর হতে সৈয়দপুরে পালিয়ে যায় এবং দিনাজপুর শত্রু মুক্ত হয়। ঢাকা বিজয়ের জন্য প্রচ- হামলা চলে রাজধানীর চারদিকে। ১৩ ডিসেম্বর রাত থেকে ১৪ ডিসেম্বর ভোর পর্যন্ত পূর্ব ও পশ্চিম দিক থেকে মিত্রবাহিনীর কামান অবিরাম গোলা ছুঁড়ে চলল। নিয়াজীসহ হানাদারদের হৃদকম্পন তখন তুঙ্গে। মিত্রবাহিনীর কামানের গোলা গিয়ে পড়ল ঢাকা ক্যান্টনমেন্টেও। সে গোলার আওয়াজে গোটা শহর কাঁপল। ঢাকার সবাই বুঝল, আর রক্ষা নেই। জেনারেল মানেকশ’র বাণী প্রচারিত হয় রাও ফরমান আলির উদ্দেশে। জেনারেল মানেকশ বলেন, আমার সৈন্যরা এখন ঢাকাকে ঘিরে ধরেছে এবং ঢাকার সেনানিবাস কামানের গোলার আওতায়। সুতরাং আপনারা আত্মসমর্পণ করুন। আত্মসমর্পণ না করলে নিশ্চিত মৃত্যু। যারা আত্মসমর্পণ করবে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে এবং তাদের প্রতি ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার করা হবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এই দিন শত শত পাকসেনা আত্মসমর্পণ করে। এক ময়নামতিতেই আত্মসমর্পণ করে ১১৩৪ পাকসৈন্য। রাতে তাবেদার গবর্নর ডা. মালিক আত্মসমপর্ণের অনুমতি চেয়ে ইসলামাবাদে জেনারেল ইয়াহিয়ার কাছে জরুরী তারবার্তা পাঠান। একই সময় তিনি ও পাকবাহিনীর পূর্বাঞ্চলের অধিনায়ক জেনারেল নিয়াজি ইয়াহিয়াকে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব মেনে নেয়ার জন্য অনুরোধ জানান। কিন্তু ইয়াহিয়া উভয়ের অনুরোধ নাকচ করে দিয়ে জানান, নিশ্চয়ই চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে রক্ষার জন্য হস্তক্ষেপ করবে। ‘অপেক্ষা করো এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাও।’ গবর্নর মালিক সকালেই ‘সমগ্র পরিস্থিতি’ বিবেচনার জন্য গবর্নর হাউসে মন্ত্রিসভার এক জরুরী বৈঠক ডাকলেন। ওই বৈঠক বসানোর ব্যাপারেও রাও ফরমান আলী এবং চীফ সেক্রেটারি মুজাফফর হোসেনের হাত ছিল। মন্ত্রিসভার বৈঠক বসল বেলা ১১টা নাগাদ। একটি পাকিস্তানী সিগন্যাল থেকে দিল্লীর বিমানসদর দফতর জানতে পারে, মাত্র ঘণ্টাখানেক বাদে ঢাকার গবর্নর হাউসে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। তৎক্ষণাৎ ঐ বৈঠক চলাকালেই গবর্নর হাউস আক্রমণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং মেঘালয়ের শিলং বিমান ঘাঁটি থেকে প্রেরিত অর্ধ ডজন মিগ-২১ সঠিক সময়ে গবর্নর ভবনের ওপর নির্ভুল রকেট আক্রমণ চালায়। গোটা পাঁচেক গিয়ে পড়ে গবর্নর হাউসের ছাদের ওপর। মালিক ও তার মন্ত্রীরা ভয়ে প্রায় কেঁদে উঠল। চীফ সেক্রেটারি, আইজি পুলিশসহ বড় বড় অফিসারও মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। তারাও ভয়ে যে যেমনি পারল পালাল। বিমান হামলা শেষ হওয়ার পর মালিক সাহেব তার পাকিস্তানী মিত্রদের সঙ্গে আবার বসল। তারপর আর পাঁচ মিনিটও লাগল না তাদের সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে। তারা সঙ্গে সঙ্গে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিল। পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ঢাকার আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির প্রতিনিধি রেনডকে জানাল এবং তার কাছে আশ্রয় চাইল। রেনড তখন ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলকে রেড ক্রসের অধীনে ‘নিরাপদ এলাকা’ করে নিয়েছেন। বহু বিদেশী এবং পশ্চিমা পাকিস্তানী আশ্রয় নিয়েছিল ওই হোটেলে। রেনডের এলাকায় মালিক ও তার দলকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে, খবর পৌঁছল জেনেভায়। সে বার্তায় বলা হলো-পূর্ব পাকিস্তান সরকারের সর্বোচ্চ কর্মকর্তারা পদত্যাগ করেছে এবং রেডক্রস আন্তর্জাতিক অঞ্চলে আশ্রয় চেয়েছে। জেনেভা চুক্তি অনুযায়ী তাদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে। ভারত এবং বাংলাদেশ সরকারকে যেন অবিলম্বে সব ঘটনা জানানো হয়। খবরটা যেন ভারতীয় সামরিক বাহিনীকেও জানানো হয়। মালিক ও তার গোটা ‘পূর্ব পাকিস্তান সরকারের’ এই সিদ্ধান্তের পর নিয়াজীর অবস্থা আরও কাহিল হলো। ঢাকার ওপর তখন প্রচন্ড আক্রমণ চলছে। প্রধান লক্ষ্য কুর্মিটোলা ক্যান্টনমেন্ট। নিয়াজী তখনও মার্কিনীদের ভরসায় মুখে বলছে, শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব। কিন্তু ভেতরে ভেতরে নিরাপদ আত্মসমর্পণের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। নিয়াজী বারংবার নিরাপদ আত্মসমর্পণ নিশ্চিত করতে ভারতের সেনাপ্রধান মানেকশ’র সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছিল। আত্মসমর্পণের পর হামলা নয়, জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাইছিল জেনারেল নিয়াজীসহ পাক জেনারেলরা। মার্কিন সপ্তম নৌবহর যে বঙ্গোপসাগরের দিকে এগুচ্ছে এ খবর চার-পাঁচদিন আগে থেকেই জানা ছিল। গোটা দুনিয়ায় তখন সপ্তম নৌবহরের বঙ্গোপসাগরে আগমণ নিয়ে জোর জল্পনা-কল্পনা চলছে। মার্কিন সরকার যদিও ঘোষণা করল যে, কিছু আমেরিকান নাগরিক অবরুদ্ধ, বাংলাদেশ থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার জন্যই সপ্তম নৌবহর বঙ্গোপসাগরে যাচ্ছে। কিন্তু কেউ তা বিশ্বাস করল না। সবার মনে তখন প্রশ্ন, প্রেসিডেন্ট নিক্সন কী ইয়াহিয়াকে রক্ষার জন্য মার্কিন নৌবহরকে যুদ্ধের মাঠে নামাবেন? মিত্র বাহিনী তখনও ঠিক জানে না যে, ঢাকার ভেতরের অবস্থাটা কী। পাকবাহিনী কীভাবে ঢাকার লড়াইয়ে লড়তে চায় এবং ঢাকায় তাদের শক্তিই বা কতটা, সে খবর মিত্রবাহিনী জানে না। নানাভাবে আসল খবরটা কিছুতেই পাওয়া গেল না। যা পাওয়া গেল সব ভুল। মিত্র বাহিনী মনে করল, ঢাকার ভেতরে লড়াই করার জন্য যদি সৈন্যদের এগিয়ে দেয়া যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে যদি বিমান আক্রমণ চালানো হয়, তবে লড়ইয়ে সাধারণ মানুষও মরবে। মিত্র বাহিনী এটা কিছুতেই করতে চাইছিল না। তাই ওইদিনই তারা একদিকে যেমন ফের পাকবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণের আবেদন জানাল এবং তেমনি অন্যদিকে ঢাকার সাধারণ নাগরিকদের অনুরোধ করল, আপনারা শহর ছেড়ে চলে যান। উত্তর এবং পূর্বরাজধানীর দুদিকেই তখন আরও বহু মিত্রসেনা এসে উপস্থিত। চাঁদপুরেও আর একটা বাহিনী তৈরি হচ্ছে নদীপথে অগ্রসর হওয়ার জন্য। এদিনে ৯ মাসের রক্তগঙ্গা পেরিয়ে গোটা জাতি যখন উদয়ের পথে দাঁড়িয়ে, পূর্ব দিগন্তে বিজয়ের রক্তিম সূর্য উঁকি দিচ্ছিল, ঠিক সেই সময়ই রাতের আঁধারে পাক হানাদার বাহিনীর দোসর এদেশীয় রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বেছে বেছে হত্যা করে। বাঙালী জাতির সেরা শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাহিত্যিকসহ দেশের বরেণ্য কৃতী সন্তানদের ঘর থেকে তুলে নিয়ে মিরপুর ও মোহাম্মদপুরের বধ্যভূমিতে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পাকিস্তানী জেনারেল রাও ফরমান আলীর তত্ত্বাবধানে গভীর রাতে লোকচক্ষুর অন্তরালে এই বর্বর পাপাচার সংঘটিত হয়। এই দিন মস্কোতে আফগানিস্তানের রাজা মুহাম্মদ জহির শাহ-এর সম্মানে আয়োজিত ভোজসভায় সর্বোচ্চ সোভিয়েত ইউনিয়নের সভাপতিমন্ডলীর সভাপতি এন. ভি. পদগোর্নি এক ভাষণে বলেন-‘এশীয় উপমহাদেশে সম্প্রতি পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় জনসাধারণ অতিমাত্রায় আতঙ্কিত। পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্মমভাবে পূর্ব পাকিস্তানের জনসমষ্টির মৌল অধিকারসমূহের ও সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত ইচ্ছার দমন দেশের সেই অংশে পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটিয়েছে। প্রায় এক কোটি শরণার্থীকে ভারতে পালিয়ে আসতে হয়েছে। এশিয়ার দু’টি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সংঘর্ষ দানা বেঁধে উঠেছে।’ ‘সোভিয়েত ইউনিয়নে আমরা অবিচলভাবে দাঁড়িয়েছি রক্তপাত বন্ধ করার পক্ষে, বাইরের শক্তিগুলোর কোনোরূপ হস্তক্ষেপ ছাড়াই জনসাধারণের আইনসম্মত অধিকারসমূহ বিবেচনার মধ্যে রেখে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক মীমাংসার পক্ষে। সেই এলাকায় স্থায়ী ও ন্যায়সঙ্গত শান্তি প্রতিষ্ঠার উপযোগী অবস্থা সৃষ্টির জন্য সোভিয়েত ইউনিয়ন চাপ দিচ্ছে।’ ‘আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, যুদ্ধবিরতির প্রশ্নটিকে যে সব কারণে ভারতীয় উপমহাদেশে পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়েছে সেগুলো দূর করার বৈপ্লবিক উপায় হিসেবে পূর্ব পাকিস্তানে রাজনৈতিক মীমাংসার প্রশ্ন থেকে বিচ্ছিন্ন করা চলে না। লেখক : শিক্ষাবিদ ও গবেষক [email protected]
×