ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

লালমনিরহাটের আদিতমারীতে পাইলিং ছাড়াই ব্রিজ নির্মাণের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯

লালমনিরহাটের আদিতমারীতে পাইলিং ছাড়াই ব্রিজ নির্মাণের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট ॥ জেলার আদিতমারী উপজেলায় বর্লি পাইলিং ছাড়াই ব্রিজ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। ব্রিজটি নিম্নমানের ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী । তাই ব্রিজ নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। আদিতমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামীণ জনপদের যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে উপজেলার বিভিন্ন সড়কের ওপর সাতটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ পায় ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে। পরে দরপত্রের মাধ্যমে এসব ব্রিজ নির্মাণের ঠিকাদার নিয়োগ হয়। ঠিকাদার নিয়োগের পরে কার্যাদেশ দেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। যার প্রেক্ষিতে নির্মাণকাজ শুরু করেন ঠিকাদাররা। এর মধ্যে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গন্ধমরুয়া দোলার ওপর ২৯ লাখ ১৭ হাজার ৪শ’ টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মাণের কার্যাদেশ পান গোলাম রব্বানী সোহেল নামে একজন ঠিকাদার। কিন্তু ব্রিজটি নির্মাণ কাজ কমিশনে কিনে সাবকন্ট্রাকে নির্মাণকাজ শুরু করেন শামীম আলম নামে স্থানীয় আরেক ঠিকাদার। সিডিউলের নিয়মানুয়ী ব্রিজের স্থায়িত্ব রক্ষায় বর্লি পাইলিং করে সিসি ঢাল্ইা দিতে হবে। কিন্তু ব্রিজটি নির্মানে বার্লি পাইলিং করা হয়নি। বার্লিং পাইলিং ছাড়াই সিসি ঢালাই শেষ করেছে ঠিকাদার । আদিতমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মফিজুল হক জানান, গন্ধমরুয়া দোলায় মাটির গুণাগুণ ভালো থাকায় বর্লি পাইলিং দেওয়া হয়নি। যার অর্থ সরকারি তহবিলে ফেরত দেওয়া হবে। তবে ওই ব্রিজ নির্মাণে নিম্নমানের পাথর ও বড় সাইজের পাথর ব্যবহৃত হওয়ার প্রমান পাওয়া গেছে। তাই ঠিকাদারকে নিম্নমানের পাথর অপসারণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্রিজ নির্মাণকাজের এস্টিমেট (হিসাব) ইউএনও’র নির্দেশ ছাড়া কাউকে দেখানো যাবে না। যেসব ব্রিজের বর্লি পাইলিং প্রয়োজন নেই সেখানে দেওয়া হবে না এবং এর জন্য বরাদ্দ অর্থ ফেরত পাঠানো হবে। আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মনসুর আলী জানান, পাথর সমস্যার কারণে একটি ব্রিজের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এস্টিমেট অনুযায়ী নির্মাণকাজ শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
×