ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নবম ওয়েজ বোর্ড

মন্ত্রিপরিষদের সুপারিশ কেন বেআইনী নয় ॥ হাইকোর্টের রুল

প্রকাশিত: ১১:৩৭, ১৩ নভেম্বর ২০১৯

মন্ত্রিপরিষদের সুপারিশ কেন বেআইনী নয় ॥ হাইকোর্টের রুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবম ওয়েজ বোর্ডের প্রজ্ঞাপনে মন্ত্রিপরিষদের তিনটি সুপারিশ কেন বেআইনী হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীদের নবম ওয়েজ বোর্ডসহ পরবর্তী ওয়েজ বোর্ডগুলোর আওতায় আনার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। তথ্য সচিব ও শ্রম সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এদিকে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকার পরও মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করায় কিশোরগঞ্জের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রফিকুল বারীকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩ ডিসেম্বর সশরীরে হাজির হয়ে তাকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চগুলো এ আদেশ প্রদান করেছে। নবম ওয়েজ বোর্ডের প্রজ্ঞাপনে মন্ত্রিপরিষদের তিনটি সুপারিশ কেন বেআইনী হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস রিটটি করেন। রিটে তিনি মন্ত্রিসভার সুপারিশ প্রজ্ঞাপনে থাকা অন্যান্য সিদ্ধান্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক দাবি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তীর্থ সলিল পাল, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী নুরুল করিম। আইনজীবী তীর্থ সলিল পাল বলেন, নবম ওয়েজ বোর্ডের প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে দ্বাদশ অধ্যায়ে মন্ত্রিসভার তিনটি সুপারিশ রয়েছে। সেগুলো হলো সংবাদকর্মীরা আয়কর দেবেন, এক মাসের গ্রাচুইটি পাবেন ও নবম ওয়েজ বোর্ড পর্যায়ক্রম অনুসরণযোগ্য। অথচ প্রজ্ঞাপনে আছে সংবাদকর্মীরা দুটি গ্রাচুইটি পাবেন। এ সুপারিশ গেজেটে থাকা সিদ্ধান্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ ছাড়া পঞ্চম ওয়েজ বোর্ড নিয়ে করা মামলার রায়ে এসেছে, সংবাদকর্মীদের আয়কর দেবেন সংবাদপত্রের মালিক। তাই মন্ত্রিসভার ওই সুপারিশ আইন সমর্থন করে না। এমনকি কাউকে একবার কোন অধিকার দেয়া হলে আইন অনুসারে তা খর্ব করা যায় না। তিনি আরও বলেন, শ্রম বিধিমালায় গণমাধ্যমের ব্যাখ্যায় ইলেকট্রনিক মিডিয়াও আছে। তাই তাদের ওয়েজ বোর্ডের আওতায় আনার নির্দেশনাও চাওয়া হয় রিটে। কিশোরগঞ্জ আদালতের বিচারককে হাইকোর্টে তলব উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকার পরও মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করায় কিশোরগঞ্জের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রফিকুল বারীকে তলব করেছে হাইকোর্ট। আগামী ৩ ডিসেম্বর সশরীরে হাজির হয়ে তাকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এক মামলার শুনানি নিয়ে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে বাদীপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. আতিকুর রহমান। গত ২৭ জুন আইনজীবী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন কিশোরগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয় মোঃ আতাহার আলী, সিরাজ উদ্দিন, লুৎফর রহমান ওরফে জমশেদ ও মোঃ জুবায়েরসহ ১৩ জন চাঁদা না পেয়ে বাদীর পিতা নয় নম্বর চৌদ্দশত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক খোকার ওপর হামলা করেন। বাদী আইনজীবী হওয়ায় তার প্রভাবে কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি সিদ্ধান্ত নেয়, সমিতির সদস্যদের কেউ বাদী হয়ে মামলা করলে সে মামলায় আসামিদের পক্ষে কোন আইনজীবী লড়তে পারবেন না। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মামলার এক থেকে ১১ নম্বর আসামিকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। একই সঙ্গে কিশোরগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে এ বিষয়ে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ব্যাখ্যা তলব করেন। ৩১ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম শুরু না হওয়া পর্যন্ত জামিন দেন এবং মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। এর পরও মামলার কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন বিচারক। এর প্রেক্ষিতে লুৎফর রহমান ওরফে জমশেদ ও মোঃ জুবায়ের হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারককে তলব করল হাইকোর্ট।
×