ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ১১:১০, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

উবাচ

নাখোশ রিজভী স্টাফ রিপোর্টার ॥ সন্তান অন্যায় করলে শাসন করতে আইন লঙ্ঘন, এ কেমন বিবেচ্য। অবশ্য অপরাধীদের পোষাই যাদের কাজ তাদের কাছে এমনটা মনে হতেই পারে। অনৈতিক কর্মকা-ের অভিযোগ ওঠার পর ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়ায় বিএনপি নাখোশ হয়েছে। দলটির দুজন নেতা বলছেন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-আরপিও এর সরাসরি লঙ্ঘন হয়েছে। রীতিমতো এই বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বসেছে বিএনপি। দলটির সংবাদ সম্মেলন রুহুল কবির বলেন, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ছাত্রলীগকে কোন আদেশ-নির্দেশ দেয়া বা তাদের ওপর হস্তক্ষেপ করা সম্পূর্ণ বেআইনী। তারা কেবল পরামর্শ দেয়ার অধিকার রাখে। আচ্ছা বিএনপি কি আওয়ামী লীগের মিটিংয়ের রেজুলেশন দেখে এই কথা বলছে। না শুনে শুনে বলছে। বরং সাধারণ মানুষতো মনে করছে এ ঘটনা থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত দেশের রাজনৈতিক দলের। অপরাধীদের ছাড় না দেয়ার মানসিকতা তৈরি হতে পারে এতে। কিন্তু বিএনপি বুঝলো ঠিক এর উল্টা। হায় বিএনপি ন্যায় অন্যায় বুঝলো না আরপিও বুঝলো। আঙ্গুল চুষছিলেন? স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, ‘আপনি বলছেন ৬০টি ক্যাসিনো আছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আপনারা ৬০ জনে কি এত দিন আঙ্গুল চুষছিলেন? এই প্রশ্ন ধরে যদি চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করা হয় আপনি তো সংগঠনের প্রধান আপনি কি কিছুই জানতেন না? তাহলে আপনি কারটা চুষছিলেন নিজের না অন্যরটা। ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, আপনারা এ্যারেস্ট করবেন, আমি বসে থাকব না। আপনাকেও এ্যারেস্ট হতে হবে। কারণ আপনি প্রশ্রয় দিয়েছেন। আমি জানি না আমার বড় শখ জাগছে ক্যাসিনোটা দেখার; আমাকে নিয়ে যাবেন? এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে যুবলীগ সভাপতি বলেন, কয়েকটা জায়গা নির্ধারণ করলেন যে ক্যাসিনো চলে, যুবলীগ চালায়। আপনি সাংবাদিক- বলতে হবে সেই ক্যাসিনোগুলো কোথায়? সেগুলো কারা কারা চালায়? প্রশ্ন জেগেছে সংগঠনের প্রধানের এই অবস্থা কি করে হয়। আমি কিছু জানি না স্টাফ রিপোর্টার ॥ ইয়ংমেন্স ক্লাবের গবর্নিং বডির চেয়ারম্যান হলেন স্থানীয় এমপি ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য হিসেবে পদাধিকার বলে যদি এই ক্লাবের সভাপতিও হয়ে থাকেন জানার কথা এখানে কি হয় না হয়। ক্লাবের ক্যাসিনোতে অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলার অভিযোগে ১৪২ জন আটকের পর জানা গেল আসল ঘটনা। রাজধানীতে এরকম জুয়ার কোট মদের আসর রয়েছে তা অনেকেরই জানা ছিল না। তবে সংসদ সদস্য হিসেবে নিজের এলাকায় নিজের সভাপতিত্বে চলা ক্লাবে কি হয় না হয় তাতো জানা উচিত ছিল। যদিও রাশেদ খান মেনন দাবি করেছেন ক্লাবের ভেতরে জুয়ার আসর বসা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না। তিনি স্থানীয় এক সরকার দলীয় ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে বলেন তিনি একদিন আমাকে সেখানে নিয়ে গিয়ে বলে আপনি ক্লাবের চেয়ারম্যান হিসেবে থাকবেন। আমি বলেছিলাম ‘ঠিক আছে’। ব্যাস ওইটুকুই। আমি জানতাম ওটা ফুটবল ক্লাব, তারা ক্রিকেটও খেলে। তাদের ফুটবল লীগ আছে। আর সেই ব্যাপারেই আমাকে নেয়া হয়েছিল। আমি সেখানে একবারই গিয়েছি। এরপর সেখানে আমি যাইনি। আর জানিও না সেখানে কী হয়। বাহ কত সরল এই সংসদ সদস্য! নাকি সব জেনেও চেপে যাচ্ছে?
×