ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

নয়া পল্টন থেকে আটক আলাল-বাবুল

প্রকাশিত: ২৩:১১, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

নয়া পল্টন থেকে আটক আলাল-বাবুল

অনলাইন ডেস্ক ॥ খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে সমাবেশ করতে না দেওয়ার প্রতিবাদে কালো পতাকা প্রদর্শনের কর্মসূচি পুলিশ পণ্ড করে দেওয়ার পর আটক করেছে বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলকে। শনিবার সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে লাঠিপেটা ও জলকামান থেকে পানি ছোড়ার পর আরও কয়েকজন নেতা-কর্মীকেও আটক করে পুলিশ। সকাল ১১টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান কার্যালয়ে ঢোকার সময় আরেক দফা আক্রমণ চালায় পুলিশ। সাবেক ছাত্রনেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলকে তখন পুলিশ আটক করে। আটক করা হয় কেন্দ্রীয় নেতা হালিমা নেওয়াজ আরলিকেও। পুলিশি হামলা এবং নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে দুপুর ১২টার দিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সংবাদ সম্মেলনের পর নিচে নেমে এলে পুলিশ আটক করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আলালকে। আলালকে গ্রেপ্তারের সময়ে পুলিশ আচরণের নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বিকালে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “সাবেক এমপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের সাথে পুলিশ যে নৃশংস আচরণ করেছে তা মনুষ্যত্বহীন। তার ঘাড় জাপটে ধরে শার্টের কলার ও বুকের-পিঠের কাপড় টেনে সিএনজিতে তোলা হয়। “একজন শিক্ষিত ও মননশীল রাজনীতিবিদের সাথে পুলিশের এই আচরণ আমাদের সেই অভিযোগটি প্রমাণিত হলো যে, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ দ্বারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভরা হয়েছে।” এর আগে দুপুরে একই স্থানে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল গ্রেপ্তার সব নেতা-কর্মীর মুক্তি দাবি করেন। এদিকে ঘটনাস্থলে থাকা ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ কমিশনার এ এস এম শিবলী নোমান সাংবাদিকদের বলেন, “সড়ক দখল করে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটানো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি হতে পারে না। তাই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।” কর্মসূচি পণ্ড করে দেওয়ার পর নয়া পল্টনের বিভিন্ন গলিতে অভিযান চালিয়েও বিএনপিকর্মীদের আটক করে পুলিশ। রিজভী বলেন, বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে দেড় শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আহত হয়েছেন অন্তত ২৩০ জন।
×