ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পাট থেকে রেশম উৎপাদন করা হবে ॥ অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

 পাট থেকে রেশম উৎপাদন করা হবে ॥ অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ তুলার বিকল্প হিসেবে পাট থেকে রেশম উৎপাদন করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, এতে কটনের আমদানি নির্ভরতা কমবে। শুক্রবার রাজধানীর রেডিসন হোটেলে বাংলাদেশ কটন এ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘গ্লোবাল কটন সামিট-২০১৮’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, দেশের তৈরি পোশাক শিল্পে ব্যবহৃত প্রায় বেশিরভাগ কাঁচামালই আমদানি নির্ভর। এক্ষেত্রে দেখা যায়, চাহিদার মাত্র ৩ শতাংশ তুলা দেশীয়ভাবে উৎপাদন করছি, বাকি ৯৭ শতাংশ আমদানি করতে হচ্ছে। তবে আমরা এ অবস্থা থেকে বের হতে চাইছি। তুলার বিকল্প হিসেবে পাট থেকে তৈরি ভিসকস উৎপাদনের দিকে আমরা এগোচ্ছি। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি। অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে তুলা উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট জমি নেই, সেজন্য দেশীয়ভাবে তুলার চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। চিনি ও তামাকজাত পণ্য উৎপাদন বন্ধ করে এসব জমিতে তুলা চাষ করা উচিত। কেননা দেশীয়ভাবে চিনি উৎপাদন লাভজনক নয়, এছাড়া তামাকও কোন ভাল ফসল নয়। তাই এসব চাষ বন্ধ করে তুলা চাষ করা উচিত। তাহলে কিছুটা হলেও তুলার চাহিদা মেটানো যাবে। অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, দেশে বস্ত্রশিল্প গড়ে উঠলেও এর কোন নির্দিষ্ট আইন নেই। তবে বর্তমান সরকার এ বিষয়টি অনেক আগে থেকে চিন্তা করে আসছিল। এরই ফলশ্রুতিতে মন্ত্রিপরিষদে বস্ত্র আইন নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে। আমরা আশা করছি আগামী সংসদ অধিবেশনে আইনটি পেশ করা হবে। তিনি বলেন, কটনের চাহিদার মাত্র ৩ শতাংশ আমরা দেশীয়ভাবে পূরণ করতে পারি। তাই সরকারী উদ্যোগে ঘোড়াশালে পাট থেকে ভিসকস উৎপাদনের কারখানা করা হবে। এ থেকে প্রতিবছর ৩৫ হাজার টন ভিসকস উৎপাদন করতে পারব। যা আমাদের তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য অনেক বড় একটি সুবিধা হবে। এছাড়া আমাদের এ শিল্পের কাঁচামালের আমদানি নির্ভরতাও কিছুটা কমবে। কটন সামিটে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তপন চৌধুরী, আন্তর্জাতিক কটন এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মির্জা সালমান ইস্পাহানী, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মোঃ শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ কটন এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী আলী ও সামিট আয়োজক কমিটির সভাপতি মোঃ আইয়ুব প্রমুখ।
×