ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের সবচেয়ে বড় শত্রু সাম্প্রদায়িকতা জঙ্গীবাদ ॥ মেনন

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ২৩ জানুয়ারি ২০১৮

দেশের সবচেয়ে বড় শত্রু সাম্প্রদায়িকতা জঙ্গীবাদ ॥ মেনন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পরিকল্পিতভাবে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিমা ভাংচুরের মতো উব্দেগজনক ঘটনা ঘটে চলেছে। অথচ এদেশের মানুষ কেবল অসম্প্রাদায়িকতাতেই বিশ^াস করে না বরং তারা পরস্পর পরস্পরের উৎসবকে নিজেদের উৎসব বলেই মনে করে। এটা স্পষ্ট করে বলা প্রয়োজন যে, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এ মানসিকতায় সকল উৎসবকে আনন্দে ভরে তুলতে হবে বলে উল্লেখ করলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। সোমবার বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা-২০১৮ উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন পূজা ম-পে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। ভিকারুননেসানুন স্কুল এ্যান্ড কলেজ, সিদ্বেশ্বরী ঢাকা ও টিএ্যান্ডটি স্কুল, মতিঝিল ঢাকা কর্তৃপক্ষ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেনন আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর ধর্মনিরপেক্ষতার কথা যদিও লিপিবদ্ধ ছিল কিন্তু কিছু মানুষ সেখানে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ঢেলে দিয়েছে। মেনন বলেন, বাঁচতে হলে সকল অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে অশুভ শক্তি যত সহায়ক হোক না কেন একদিন যে কেউ তার শিকার হতে পারে। তিনি বলেন, আমার বিশ্বাসÑ যতই ষড়যন্ত্র হোক দেশের মানুষ কখনই উগ্র-সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী গোষ্ঠীর কাছে মাথানত করবে না। কারণ দেশের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে এই গোষ্ঠীর সঙ্গে কোন আপোস করা যাবে না। তিনি বলেন, এখনও ধর্মের ভেদাভেদ সৃষ্টি করতে এক শ্রেণীর মানুষ উঠেপড়ে লেগেছে। সম্প্রতি আমাদের দেশেও ধর্মীয় সহিংসতার মতো ঘটনাও ঘটে গেছে। আমাদের পাশর্^বতী দেশ ভারতেও হিন্দু মৌলবাদী শক্তি সেখানকার ধর্মীয় সম্প্রীতিতে আঘাত হানছে। এগুলো পৃথিবীর কোন সভ্য দেশেই কাম্য নয়। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সকলকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে প্রবীণ এই বাম নেতা মেনন বলেন, দেশের জন্য সবচেয়ে বড় শত্রু উগ্র সাম্প্রদায়িকতা আর জঙ্গীবাদ। এ দুটোকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে একটি গোষ্ঠী। তারা রাজনীতির নামে দেশকে পেছনের দিকে ঠেলে নিয়ে যেতে চায়। তাদের উদ্দেশ্য বাংলাদেশ যেন কোন অবস্থাতেই এগিয়ে যেতে না পারে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শিরীন নাঈম, জয়ন্ত কুমার দেবসহ ভিকারুননিসা নূন স্কুল এ্যান্ড কলেজ ও টিএ্যান্ডটি স্কুল এ্যান্ড কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
×