ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাংসদ মান্নান সহ ৮জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি ৮ ফেব্রুয়ারি

প্রকাশিত: ০১:২৮, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮

সাংসদ মান্নান সহ ৮জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি ৮ ফেব্রুয়ারি

স্টাফ রিপোর্টার॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধেল অভিযোগে ময়মনসিংহ -৭ (ত্রিশাল) আসনের জাতীয় পাটির সংসদ সদস্য এম এ হান্নান ও তার ছেলে রফিক সাজ্জাদ সহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনানি (চার্জ হেয়ারিং) দিন নির্ধারন করা হয়েছে ৮ ফেব্রুয়ারি। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা ,আটক নির্যাতন মতো ৬টি অভিযোগ আনা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি শো:শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল -১ মঙ্গলবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। এ সময় প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন ও প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন এই প্রতিবেদককে বলেন, এ মামলায় গতকাল চার্জ হেয়ারিং এর তারিখ নির্ধারণ ছিলো। কিন্তু তা না হওয়ায় পরবর্তী চার্জ হেয়ারিং আগামী ৮ ফেব্রুয়ারী পূননির্ধারন করা হয়েছে। ৮ আসামির মধ্যে ৬ জন করাগারে আছেন। আর ২ জন পলাতক রয়েছেন। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন , ময়মনসিংহের সাবেক মুসলিম লীগ নেতা ও বর্তমানে জাতীয় পার্টির ত্রিশাল-৭ আসনের সংসদ সদস্য এম এ হান্নান, তার ছেলে রফিক সাজ্জাদ, জামায়াতের সদস্য চিকিৎসক খন্দকার গোলাম ছাব্বির আহমাদ, জাতীয় পার্টির নেতা মিজানুর রহমান, সাবেক জামায়াত কর্মী হরমুজ আলী। পলাতক রয়েছেন একই জেলার জামায়াত কর্মী ফখরুজ্জামান, মুসলিম লীগ সমর্থক আবদুস সাত্তার ও খন্দকার গোলাম রাব্বানী। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সক্রিয় সহায়তার লক্ষ্যে এম এ হান্নান ময়মনসিংহ জেলা শান্তি কমিটি গঠন করে এর সাধারণ সম্পাদক হন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আসামিরা শহরের নতুন বাজারে অবস্থিত এম এ হান্নানের নিজ বাসভবন, জেলা পরিষদ ডাকবাংলো টর্চার সেলের দায়িত্বে থেকে মুক্তিকামী সাধারণ নিরীহ মানুষদের ধরে এনে হত্যা করে লাশ ব্রহ্মপুত্র নদের চরে ফেলে রাখেন। অন্যদিকে যশোরের মণিরামপুর থানার রাজাকার কমান্ডার সিদ্দিকুর রহমান গাজী , মুক্তিযুদ্ধের সময় মণিরামপুর রাজাকার বাহিনীর সাব-কমান্ডার ছিলেন। সে সময় মণিরামপুর থানার ৩ নম্বর ইউনিয়নে হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অন্যান্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আসামিরা শহরের নতুন বাজারে অবস্থিত এম এ হান্নানের নিজ বাসভবন, জেলা পরিষদ ডাকবাংলো টর্চার সেলের দায়িত্বে থেকে মুক্তিকামী সাধারণ নিরীহ মানুষদের ধরে এনে হত্যা করে লাশ ব্রহ্মপুত্র নদের চরে ফেলে রাখেন।
×