ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

তাবলিগের দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০০:৩৪, ১১ জানুয়ারি ২০১৮

তাবলিগের দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

অনলাইন রিপোর্টার ॥ মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভীর ঢাকায় আসা নিয়ে দ্বন্দ্ব নিরসনে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টা পর মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই বৈঠক শুরু হয় বলে কর্মকর্তারা জানান। এই উত্তেজনার মধ্যে ঢাকার কাকরাইল মসজিদে অবস্থানরত মাওলানা সাদ টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় যাচ্ছেন না বলে সকালেই ইংগিত দেওয়া হয়েছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে। সাদবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যে নতুন করে বিশৃঙ্খলা এড়াতে কাকরাইল মসজিদ এলাকায় বুধবার রাত থেকেই নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা। তাবলিগ জামাতের বার্ষিক সম্মিলন বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে বুধবার দুপুরে বাংলাদেশে আসেন এই মুসলিম সংঘের কেন্দ্রীয় পর্ষদের শুরা সদস্য মাওলানা সাদ। তার ইজতেমায় যাওয়া ঠেকাতে তাবলিগ জামাতের একটি অংশ বিমানবন্দর এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করলে গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কে দিনভর যানজটে ভুগতে হয় মানুষকে। ভারতীয় উপমহাদেশের সুন্নি মতাবলম্বী মুসলমানদের বৃহত্তম ধর্মীয় সংঘ তাবলিগ জামাতের মূল কেন্দ্র বা মারকাজ দিল্লিতে। কেন্দ্রীয় ওই পর্ষদকে বলা হয় নেজামউদ্দিন, যার ১৩ জন শুরা সদস্যের মাধ্যমেই উপমহাদেশে তাবলিগ জামাত পরিচালিত হয়। এই পর্ষদের সদস্য মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভি সম্প্রতি নিজেকে তাবলিগের আমির দাবি করে বসেন। ফলে তার বাংলাদেশে আসা নিয়ে বাংলাদেশে তাবলিগের মূল দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। বিক্ষোভের মধ্যে বুধবার ঢাকায় পৌঁছানোর পর বিকালে কাকরাইল মসজিদে যান মাওলানা সাদ। বাংলাদেশে ওই মসজিদই তাবলিগের কার্যক্রমের মূল কেন্দ্র। সন্ধ্যায় সাদবিরোধী একদল তাবলিগকর্মী কাকরাইল মসজিদের সামনে জড়ো হলে সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। ওই মসজিদ ঘিরে অবস্থান নেয় পুলিশ, সকালে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়। দুপুরে মহাখালির আইপিএইচ স্কুল ও কলেজের পঞ্চাশ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, মাওলানা সাদ বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবেন কি না, তা নির্ভর করবে তাবলিগ জামায়াতের মুরুব্বিদের সিদ্ধান্তের ওপর। সরকার শুধু আইন শৃঙ্খলার দিকটি দেখবে। মাওলানা সাদকে নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত নবেম্বরে কাকরাইল মসজিদে দুই দল তাবলিগকর্মীর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর বাংলাদেশে তাবলিগের ‘মুরুব্বিরা’ ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে একটি উপদেষ্টা কমিটি করেন।
×