ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘চুক্তির সময়সীমা অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে ’

প্রকাশিত: ০১:২৮, ২ জানুয়ারি ২০১৮

‘চুক্তির সময়সীমা অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে ’

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী জাতীয় নির্বাচনে কোনো বিদেশী শক্তি বাংলাদেশের ওপর চাপ প্রয়োগ করবে না বলে প্রত্যাশা করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তবে উন্নত নির্বাচনী কার্যক্রমের জন্য বিদেশী রাষ্ট্র সহায়তা দিতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে চুক্তির সময়সীমা অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, অতীতের নির্বাচনে বিদেশী চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। তবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে কোনো বিদেশী শক্তি চাপ প্রয়োগ করবে না বলে আমরা প্রত্যাশা করছি। আগামী নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল ও নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলগুলোর অন্যায় কোনো আবদার পূরণে বিদেশী কূটনীতিকরা এবং রাষ্ট্রগুলো অতীতের মতো এবার আর সময় নষ্ট করবে না। এর আগে আমরা নির্বাচন কেন্দ্রীক বিভিন্ন দেশের এক ধরনের তৎপরতা দেখেছি। এবার আর সেটি হবে বলেও আশা করি না। এছাড়া জাতীয়তাবাদী শক্তি ও নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলগুলো যে ভাষায় কথা বলে থাকে, সেই একই ভাষায় বিদেশী কূটনীতিকরা কথা বলবে না বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিগত জাতীয় নির্বাচনের পর অনেকেই মনে করেছিলো সরকার হয়তো নির্দিষ্ট মেয়াদ পূরণ করতে পারবেনা। কিন্তু সময় সেটা প্রমাণ করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা কতটা পারি। সরকার বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার লক্ষে ব্যাপক কার্যক্রম হতে নিয়েছে। অবশ্য চলতি বছর আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে রোহিঙ্গাদের সময়সীমার মধ্যে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো। এ নিয়ে আজ মঙ্গলবার জাতিসংঘের প্রতিনিধির সঙ্গেও আলোচনাও হয়েছে। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে তিনি বলেন, গত ২৩ নবেম্বর রোহিঙ্গা ফেরাতে বাংলাদেশ মিয়ানমারের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে তার মধ্যে ছিল দুই মাসের মধ্যেই তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে। আমরা এখনও এই সময়সীমার মধ্যেই রয়েছি। আমরা সেভাবেই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। অনেকে বলছে, ৫-৭ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী এসেছে। তবে আমাদের হিসেবে এ সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। সোমবার পর্যন্ত ৯ লাখ ২৩ হাজার জনের নিবন্ধন করা হয়েছে।
×