ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শুনানির জন্য নতুন বিচারপতি নিয়োগের প্রয়োজন নেই ॥ আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০১:০১, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭

শুনানির জন্য নতুন বিচারপতি নিয়োগের প্রয়োজন নেই ॥ আইনমন্ত্রী

অনলাইন রিপোর্টার ॥ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ষোড়শ সংশোধনীর শুনানির জন্য নতুন করে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, ‘যেহেতু নিয়মানুযায়ী যে বেঞ্চের শুনানি রিভিউ সেই বেঞ্চে করার কথা বলা আছে, সেহেতু আমার অভিজ্ঞতা বলে এখানে নতুন বিচারপতির জন্য রিভিউ আবেদনের শুনানি বন্ধ থাকবে না।’ মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিচারক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের রুলস অর্ডার ২৬-এর রুল ৮০-তে বলা আছে, যতদূর সম্ভব যে বেঞ্চ শুনানি করেছিল সেই বেঞ্চেই শুনানি হবে। আমার মনে হয় না এই মামলা শুনানির জন্য নতুন করে অ্যাপয়েনমেন্ট দেওয়ার প্রয়োজন আছে। পাঁচ জন বিচারপতি শুনানি করতে পারবেন।’ একমাস ১৩ দিন হলো প্রধান বিচারপতির পদ শূন্য হয়েছে, নতুন বিচারপতি নিয়োগে সর্বশেষ কোনও তথ্য আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য নেই, রাষ্ট্রপতি কবে নিয়োগ দেবেন। সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদে পরিষ্কার বলা আছে, বিষয়টি মহামান্য রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার। সত্যি সত্যি জানি না কবে তিনি নিয়োগ দেবেন। আশা করি, শিগগিরই হবে।’ কবে নাগাদ হবে আবারও প্রশ্নে করলে তিনি বলেন, ‘আমি আশা করছি।’ পদত্যাগের বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও ঘোষণা দেওয়া হয়নি, সুপ্রিম কোর্ট বারের পক্ষ থেকে তোলা এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন, সেটা বঙ্গভবন থেকে জানানো হয়েছে। ওনারা মনে হয় খবর পড়েন না। বিচারপতি এসকে সিনহা প্রধান বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন এটি জানানো হয়েছে, এখানে আইন মন্ত্রণালয়ের কিছু বলার নাই।’ শৃঙ্খলাবিধির মাধ্যমে বিচারবিভাগ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ তোলা হচ্ছে প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘ডিসিপ্লিনারি রুলস এর মধ্যে যেসব জিনিস রাখা হয়েছে, বিধি হিসেবে ২৯(২) বিধিতে বলা আছে- এখানে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে যদি সুপ্রিম কোর্টের মতপার্থ্ক্য হয় এবং আলোচনার পরও নিরসন না হলে সুপিম কোর্টের মতামত সেখানে প্রাধান্য পাবে। এখানেই পরিষ্কার এটা যদি সুপ্রিম কোর্টের নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাহলে বিচার বিভাগ স্বাধীন। এটা নির্বাহী বিভাগের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টাও করা হয়নি। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের প্রধান ব্যক্তি। তার কাছে এটি সংবিধান দ্বারা ন্যস্ত। যাদের জন্য এই বিধি করা হয়েছে, তাদেরও তো মতামত আছে এ ব্যাপারে। তারা মনে করেছেন, তাদের স্ট্যাটাস বজায় থাকে যদি সেটা মহামান্য রাষ্ট্রপতির অধীনে থাকে। আইনটি ওনাদের পকেটে নেওয়ার জন্য জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে খালেদা জিয়া পর্যন্ত চেষ্টা করেছেন। এটা আমরা করি নাই। আমরা শৃঙ্খলাবিধি করে দিয়েছি। ওনাদের কারণে বিচারবিভাগ যে স্বাধীন, সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করতে হয়েছে ১ নভেম্বর ২০০৭ সালে। আমরা আইনের শাসন দেশে ফিরিয়ে এনেছি। ওনারা পকেটে নিয়ে রেখেছিলেন। সেটা থেকে আস্তে আস্তে বের করে বিচার বিভাগকে মর্যাদার আসনে বসাচ্ছি। তাই তাদের গাত্রদাহ।’
×