ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

’৩০ সালের মধ্যে যক্ষ্মা নির্মূলে আঞ্চলিক কমিটি গঠনের আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১৮ নভেম্বর ২০১৭

’৩০ সালের মধ্যে যক্ষ্মা নির্মূলে আঞ্চলিক কমিটি গঠনের আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষ্মা নির্মূলের লক্ষ্যে ভারত- বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলে একটি উচ্চ পর্যায়ের আঞ্চলিক কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। শুক্রবার রাশিয়ার মস্কোতে ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ দেশের যক্ষ্মা নির্মূলে করণীয়’ শীষক এক সাইট ইভেন্টে বক্তৃতাকালে তিনি এ আহ্বান জানান। গ্লোবাল কোয়ালিয়েশন এগেইনস্ট টিবির সহায়তায় ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ ইভেন্টের আয়োজন করে। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, দক্ষিণÑপূর্ব এশিয়া অঞ্চল থেকে যক্ষ্মা দূর করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে আন্তঃদেশীয় সমন্বিত ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। একই নীতি ও সহায়ক ব্যবস্থপনা গ্রহণে এই আঞ্চলিক কমিটি ভূমিকা রাখতে পারবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ- ভারতের সীমান্ত অঞ্চল যক্ষ্মা সংক্রমণের ঝুঁকিরোধে সীমান্ত এলাকায় যক্ষ্মা সনাক্তকরণ কেন্দ্র স্থাপনে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে এ ধরনের সংক্রামক রোগের বিস্তার পাশের দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই সীমান্তে যক্ষ্মা স্ক্রিনিং ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন। সম্প্রতি মিয়ানমার সরকারের দমন-পীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গার অনেকের মধ্যে যক্ষ্মা প্রকোপ রয়েছে- এমন তথ্য জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে যক্ষ্মা যেন ছড়াতে না পারে সরকার সে বিষয়ে সতর্ক রয়েছে। আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সংক্রামক রোগের দ্রুত চিকিৎসার পাশাপাশি সব ধরনের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আঞ্চলিক সহায়তা কামনা করেন তিনি। পরে ‘এন্ডিং টিউবারকিউলসিস ইন দ্য সাসটেইনবল ডেভেলপমেন্ট ইরা ঃ এ মাল্টিসেক্টরাল এ্যাপ্রোচ’ শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের এক গোলটেবিল আলোচনায় টিবি নির্মূল কর্মসূচী বাস্তবায়নে সরকার, সুশীল সমাজ ও বেসরকারী সংস্থার সমন্বয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশে^র কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে উল্লেখ করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার যক্ষ্মা নির্মূলে অঙ্গীকারবদ্ধ। যক্ষ্মা সনাক্তকরণ, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে, সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগের সমন্বয় বাংলাদেশকে এই রোগ নির্মূলের পথে এগিয়ে নিচ্ছে। এমডিআর টিবি রোগের চিকিৎসায় বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত ছয় মাস কোর্সের ওষুধ আজ বিশ্বের ২৪ দেশে সফলভাবে চালু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এন্ডিং টিবি কর্মসূচীর প্রতিনিধি জন ওয়াটসনের সঞ্চালনায় বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বেলারুশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভ্যালেরি ম্যালাশকো, দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী পার্ক নিউনঘু, ভিয়েতনামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নগুয়েন থি কিম তিয়েন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
×