২৪ থেকে ২৬ অক্টোবর কমতে পারে ইন্টারনেটের গতি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রথম সাবমেরিন কেবল সিমি-ইউ-৪’র রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলার কারণে ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ইন্টারনেটের গতি কমে যেতে পারে। এ সময়ের জন্য দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল সিমি-ইউ-৫’র মাধ্যমে ইন্টারনেট সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হবে। রবিবার সচিবালয়ে নারীর ‘ক্ষমতায়ন’ ও তাদের ‘জীবনযাত্রায় মানোন্নয়নে’ টেলিটক বিনামূল্যে ২০ লাখ ‘অপরাজিতা’ সিম বিতরণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এ তথ্য জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক রাখতে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল সংযুক্ত থাকায় বিকল্প পদ্ধতিতে ইন্টারনেট সেবা দেয়া হবে। দেশের প্রথম সাবমেরিন কেবলের বয়স ১২ বছর পার হয়ে গেছে। কেবলটির বিভিন্ন স্থানে মেরামত কাজ চলছে। মেরামত শেষ না হওয়া পর্যন্ত পটুয়াখালীতে স্থাপিত দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল সিমি-ইউ-৫ ল্যান্ডিং স্টেশনের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকবে দেশের ইন্টারনেট। বন্ধ হয়ে গেলে ইন্টারনেট থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কোন সুযোগ নেই। কারণ আমরা বিকল্প সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে অনেক আগেই যুক্ত হয়েছি। সিমি-ইউ-৫’র মাধ্যমে ইন্টারনেট সরবরাহ ঠিক রাখা হবে। যদি প্রথম কেবল মেরামত না হওয়া পর্যন্ত ইন্টারনেটের গতি কিছুটা কম থাকবে। তবে আমাদের আইটিসি লাইসেন্সধারীরা আছে, এতে খুব বেশি সমস্যা হবে না। বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সাবমেরিন কেবল ‘সিমি-ইউ-৪’ এ যুক্ত হয় ২০০৫ সালে। যার মাধ্যমে ২৫০ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইডথ পাওয়া যাচ্ছে। এটি ছাড়াও বাংলাদেশ ছয়টি বিকল্প সাবমেরিন কেবলের (আইটিসি বা ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল কেবল) সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। টেলিটকের সিম প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একজন নারী বিনামূল্যে সর্বোচ্চ দুটি সিম নিতে পারবেন। এই সিমে সুলভ মূল্যে কল ও ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাবে। অপরাজিতা সিম দেশের নারীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান উন্নয়নে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি। ‘স্টার্ট আপ বোনাস’ হিসেবে একজন অপরাজিতা গ্রাহক সিমের সঙ্গে ১০ টাকার টক টাইম পাবেন, যা তিন মাস বহাল থাকবে। সেই সঙ্গে এক জিবি ডেটা, ১০ মিনিট টেলিটক থেকে টেলিটকে এবং টেলিটক থেকে অন্য অপারেটরে ৫ মিনিট বিনা পয়সায় কথা বলার সুযোগ পাবেন, যা ব্যবহার করতে হবে এ্যাক্টিভেশনের পর প্রথম সাত দিনের মধ্যে। অপরাজিতা গ্রাহক সাত দিন মেয়াদে ৮ টাকায় এক জিবি ডেটা এবং ১৪ টাকায় দুই জিবি ডেটার ইন্টারনেট প্যাকেজ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। সিম এ্যাক্টিভেশনের পর তিন মাস যতবার খুশি এই প্যাকেজ তিনি উপভোগ করতে পারবেন। টেলিটকের নারী গ্রাহকদের মধ্যে যারা অন্য সিম ব্যবহার করছেন, তারাও অপরাজিতায় ‘মাইগ্রেট’ করতে পারবেন বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। রবিবার থেকেই সারাদেশে টেলিটকের গ্রাহক সেবা কেন্দ্র এবং নির্ধারিত রিটেইল পয়েন্টে এ সিম পাওয়া যাচ্ছে। টেলিটকের নেটওয়ার্ক নিয়ে গ্রাহক অসন্তুষ্টি বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তারানা হলিম বলেন, প্রকল্পের অর্থ ছাড় না হওয়ায় টেলিটকের নেটওয়ার্ক উন্নত করা যাচ্ছে না। টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে একনেক অনুমোদিত একটি প্রকল্পের অর্থ ছাড়ের বিষয়টি এখনও ঝুলে আছে। তাছাড়া ফোরজির জন্য একনেক অনুমোদিত দুটি প্রকল্পে অর্থ ছাড়ের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে। এ বছরের ডিসেম্বর মধ্যে দেশে ফোরজি প্রযুক্তি চালু করা হবে। অপারেটররা ২৪টি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই ব্যাখার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব হয়েছে। বাকি দুটি বিষয়ে আলোচনা চলছে, শীঘ্রই সমাধান হবে বলে আশা করছি। টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মোঃ গোলাম কুদ্দুসসহ সিনিয়র কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।