ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

৫৩ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বেপরোয়া গতি :যাত্রী কল্যাণ সমিতি

প্রকাশিত: ০১:২৭, ২১ অক্টোবর ২০১৭

৫৩ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বেপরোয়া গতি :যাত্রী কল্যাণ সমিতি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করলে জাতিসংঘ ঘোষিত ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনা অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে দাবী করেছে যাত্রী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, উন্নত দেশ গুলোতে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে যেসব পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সেগুলো খুবই সুনির্দিষ্ট হয়। কিন্তু বাংলাদেশে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন দায়সারা গোছের। কত বছরে কি পরিমান দুর্ঘটনা ও প্রাণহানী কমানো হবে। কিভাবে তা অর্জিত হবে, কারা তা সফল করবে। এটা স্পষ্ট করা জরুরী। পরিকল্পনা করে রেখে দিলে বা প্রতিদিন নতুন নতুন কথার ফুলঝুড়ি দিলে দুর্ঘটনা কমবে এটা আশা করা ঠিক নয় বলেও মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির মহাসচিব। দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানীর প্রায় ৪৭ শতাংশ পথচারী দাবি করে সংগঠনের দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, স্বল্প ব্যয়ে ফুটপাত, জেব্রা ক্রসিং, আন্ডারপাস, ওভারপাস নির্মাণ ও ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে প্রাণহানী অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব। ৫৩ শতাংশ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বেপরোয়া গতি। গতি নিয়ন্ত্রন, মহাসড়কে ছোট যানবাহন বন্ধ ও বেপরোয়া যানবাহন চলাচল বন্ধ করা জরুরী। এছাড়া এখনো দেশের সড়ক মহাসড়কে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে ১০ লক্ষ নছিমন-করিমন-ইজিবাইক। অবাধে আমদানী হচ্ছে অটোরিক্সা, ব্যাটারী চালিত রিক্সা, ইজিবাইক। দেশব্যাপী ৫ লাখ ফিটনেসবিহীন বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, হিউম্যান হলার অবাধে চলছে। নিবন্ধন বিহীন ৪ লক্ষ অটোরিক্সা ও মোটর সাইকেল চলাচল করছে সড়ক-মহাসড়কে। এসব যানবাহন সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান উৎস। বিবৃতিতে বলা হয়, আইন প্রয়োগের দূর্বলতা। সড়ক মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে বিশৃংখলা। চালক-মালিকদের বেপরোয়া মনোভাব এই সেক্টরকে দিন দিন অনিরাপদ করে তুলছে। সরকার সড়ক নিরাপত্তায় জনবান্ধব যে কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে গেলে তারা বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে সড়ক নিরাপত্তা আজ মারাত্বক হুমকির মুখে বলে দাবী করেন তিনি।
×