ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ০০:৪১, ১৯ অক্টোবর ২০১৭

রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ প্রকৃত শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য গোপন করে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং অফিস সহায়ক পদে নিয়োগের বিরুদ্ধে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ চারজনের বিরুদ্ধে গলাচিপা উপজেলা সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক বৈজয়ন্ত বিশ্বাস বিবাদীদের আগামি ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া, আদালতের বিচারক জবাব দাখিল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর অর্ন্তবর্তীকালীণ স্থগিতাদেশ প্রদান করেছেন। অফিস সহায়ক পদের অপর এক প্রার্থী কাওসার বাদি হয়ে সোমবার ১৬ অক্টোবর এ মামলা দায়ের করেছেন। যার দেওয়ানি মোকদ্দমা নম্বর- ৩২৭/২০১৭। রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছাড়াও মামলায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও একই পদের অপর দুই প্রার্থী মেহেদী হাসান ও মোঃ ফেরদাউসকে বিবাদী করা হয়েছে। মামলার আবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে, বাদি কাওসার দীর্ঘদিন ধরে রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদে অফিস সহায়ক পদে মাস্টাররোলে চাকরি করে আসছেন। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে অফিস সহায়কের দুইটিসহ আরও একাধিক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। গত ১১ সেপ্টেম্বর ওই পদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যাতে বাদি কাওসার উত্তীর্ণ হণ। কিন্তু রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে বাদি কাওসারকে বাদ দিয়ে মেহেদী হাসান ও মোঃ ফেরদাউসকে ওই পদে নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেন। বাদি কাওসার মামলায় আরও অভিযোগ করেছেন, অফিস সহায়ক পদের জন্য অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে। কিন্তু যাদের নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে, তাদের কারও অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। প্রকৃত শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য গোপন করা হয়েছে। এদিকে, এ মামলার বাদি আরও অভিযোগ করেছেন অফিস সহায়ক পদের একজন প্রার্থী তার জন্মতারিখও পরিবর্তন করেছেন। এ নিয়োগে অর্থের বিনিময়ে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। এ বিষয়ে ওই সময়ে নিয়োগ বোর্ডের দায়িত্বপালনকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রেজাউল করিম বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
×