ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকায় শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট নির্মাণে জাপানের সহায়তা কামনা

প্রকাশিত: ০১:৫৩, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ঢাকায় শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট নির্মাণে জাপানের সহায়তা কামনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট জাতীয় শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট নির্মাণে জাপানের সহায়তা চাইলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। বাংলাদেশ সফররত জাপানের কোচি বিশ্ববিদ্যালয় গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব নার্সিং এর স্পেশালি অ্যাসাইন্ড প্রফেসর ড. হিরোকো মিনামি মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসলে তিনি এই সহায়তা চান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মা ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়নে বাংলাদেশ গত আট বছরে যে সাফল্য অর্জন করেছে তা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। শিশু মৃত্যু হার কমিয়ে এমডিজি অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘ পুরস্কৃত করেছে। সরকার এই সাফল্যকে আরো ঊর্দ্ধে নিয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে অঙ্গীকারবদ্ধ। এলক্ষ্যে দেশের সাত বিভাগে একটি করে শিশু হাসপাতাল স্থাপনের প্রকল্প সরকারের হাতে নিয়েছে এবং চতুর্থ জাতীয় স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা সেক্টর প্রকল্পে তা অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক ইচ্ছায় সরকার রাজধানীতে একটি শিশু হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এই হাসপাতাল নির্মাণে জাপান এগিয়ে আসলে এদেশের কোটি কোটি শিশু ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। জাপানকে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বিশ^স্ত বন্ধু হিসাবে উল্লেখ করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতসহ যোগাযোগ, অবকাঠামো এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে জাপানের ধারাবাহিক অবদান এদেশের জনগণ কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা দ্রুত অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে আগামীতে সহায়তা বাড়ানোর জন্য জাপান সরকারের প্রতি আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশের কর্মসূচির ভূয়সী প্রশংসা করে হিরোকো মিয়ামি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এজেন্সীর সহায়তায় বাংলাদেশে চলমান ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব নার্সিং সার্ভিস প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি এসময় মন্ত্রীকে অবহিত করেন। বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে সেবার মান বাড়াতে নার্সদের শিক্ষার মানোন্নয়ন, নার্সিং প্রশাসন ও ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস এর আধুনিকায়নের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদী এই প্রকল্প গত বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। ঢাকায় জাতীয় শিশু হাসপাতাল স্থাপনে বাংলাদেশের প্রস্তাব সক্রিয়ভাবে বিবেচনার আশ^াস প্রদান করেন তিনি। এসময় স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব সিরাজুল হক খান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তন্দ্রা শিকদার, জাইকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি তাকাতোশি নিশিকাতো সহ মন্ত্রণালয় ও জাইকার ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
×