ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সমালোচনার মুখে রিবেরি

প্রকাশিত: ০৪:৪৯, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সমালোচনার মুখে রিবেরি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে জয় দিয়েই নতুন মৌসুমের যাত্রা শুরু করেছে বেয়ার্ন মিউনিখ। মঙ্গলবার ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে তারা ৩-০ গোলে পরাজিত করে দশ জনের দলে পরিণত হওয়া আন্ডারলেখটকে। তবে এই ম্যাচেই বিতর্কিত এক ঘটনার জন্ম দিয়েছেন বেয়ার্ন মিউনিখের ফরাসী মিডফিল্ডার। আন্ডারলেখটের বিপক্ষে ম্যাচ শেষ হওয়ার ১২ মিনিট আগেই তাকে মাঠ থেকে তুলে নেন দলের অভিজ্ঞ কোচ কার্লো আনচেলত্তি। কিন্তু মাঠ থেকে বেরিয়ে বেয়ার্নের সাইড বেঞ্চে বসার ঠিক আগেই ক্ষোভে নিজের জার্সি খুলে নিক্ষেপ করে দূরে ফেলে দেন তিনি। আর তাতেই ফ্রাঙ্ক রিবেরির সমালোচনায় মেতে ওঠেন জার্মানির কিংবদন্তি ফুটবলার লোথার ম্যাথিউস। ২০০৭ সালে মার্সেই থেকে বেয়ার্ন মিউনিখে যোগ দেন ফ্রাঙ্ক রিবেরি। এরপর থেকেই জার্মান জায়ান্টদের মাঝমাঠ সামলাচ্ছেন তিনি। কিন্তু দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হয়েও আন্ডারলেখটের বিপক্ষে ম্যাচে অবিবেচকের মতো কাজ করেছেন বলে মনে করেন ম্যাথিউস। এ প্রসঙ্গে সাবেক বেয়ার্ন মিউনিখের জার্মান অধিনায়ক বলেন, ‘রিবেরি এখানে যথেষ্ট সময় ধরে খেলছেন... তাই সে আবেগপ্রবণ ছিল কিন্তু তাই বলে বেঞ্চে সে কখনই এভাবে জার্সি ছুড়ে ফেলতে পারেন না। এটা খুবই খারাপ কাজ করেছে সে।’ শুধু ম্যাথিউস একাই নন রিবেরির সমালোচনা করেছেন বেয়ার্নের কোচ কার্লো আনচেলত্তিও। এ প্রসঙ্গে সাবেক রিয়াল মাদ্রিদের এই অভিজ্ঞ কোচ বলেন, ‘অবশ্যই খেলোয়াড়রা ৯০ মিনিট খেলতে চায়। কিন্তু তাকে তো আমিই মাঠ থেকে তুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ তখন ম্যাচের বাকি মাত্র ১০ মিনিট। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও তখন আমাদের হাতে। তাছাড়া ইতোমধ্যে সে একটি হলুদ কার্ডও পেয়েছে। তার মধ্যে ইনজুরিরও সমস্যা ছিল। কিন্তু এজন্য সে যে এভাবে তার প্রতিক্রিয়া জানাবে তা মোটেও বুঝতে পারিনি। এ বিষয়ে আমি অবশ্যই তার সঙ্গে কথা বলব।’ পরবর্তীতে অবশ্য রিবেরিও নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন। সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকে সে বিষয়ে একটি পোস্টও দিয়েছেন তিনি। রিবেরি বলেন, ‘আমি সবসময়ই একজন সৎ এবং বাধ্য খেলোয়াড়ের মতোই খেলে এসেছি। আমি আমার ভক্তদের সম্মান করি এবং ক্লাবকেও যথেষ্ট ভালবাসি। গত রাতে নিক্ষেপ করে দেয়া জার্সিকে অসম্মান করার মতো কিছুই ঘটেনি। যে জন্য কিছু মানুষের কাছে আমি অভিযুক্ত। সমালোচকদের উদ্দেশে আমি বলতে চাই, এই ভেজা জার্সিতেই গত দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলেছি। কেউ কেউ অবশ্য এখানে সর্বোচ্চটা ঢেলে দেয়ার মানে বুঝবে না। তাই তাদের কাছে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’ একইদিনে সমালোচনার কবলে পড়েন নেইমারও। গোল করে দারুণভাবে নিজেকে মেলে ধরেন সাবেক বার্সিলোনা এবং সাস্তোস ফরোয়ার্ড। কিন্তু সেল্টিকের ডিফেন্ডার এ্যান্থনি রালসটন ম্যাচ শেষে হাত বাড়ালেই তা প্রত্যাখ্যান করেন নেইমার। শুধু তাই নয়, পিএসজির ব্রাজিলিয়ান তারকা এদিন প্রতিপক্ষের এই খেলোয়াড়ের সঙ্গে জার্সিও বদল করেননি। নেইমার-এমবাপ্পে-কাভানির মতো স্ট্রাইকাররা যখন কোন দলের আক্রমণভাগে থাকেন। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের জন্য তা সত্যিই কঠিন কাজ। রালসটন যেন এদিন তা হাড়ে হাড়েই টের পেলেন। ২২২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে পিএসজিতে যোগ দেয়া নেইমারকে এদিন দুইবার ফাউলও করে বসেন রালসটন। সেজন্য ইতালিয়ান রেফারি ড্যানিয়েলে ওরাস্তো তো একবার সতর্কবার্তাও দিয়েছেন সেল্টিক ডিফেন্ডারকে।
×