ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

হজের নামে মানব পাচার শূণ্যের কোঠায় ॥ ধর্মমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০১:১৩, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

হজের নামে মানব পাচার শূণ্যের কোঠায় ॥ ধর্মমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ হজের নামে মানব পাচার বন্ধে হজ এজেন্সিগুলোর প্রতি নজরদারি বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। তিনি দাবি করেন, ই-হজ সিস্টেম প্রবর্তন হওয়ায় হজের নামে মানব পাচার শূণ্যের কোটায় নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ দাবি করেন। সরকার দলীয় অপর সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, আকস্মিকভাবে রাজকীয় সৌদি সরকার একাধিকবার হজে গমনকারীদের ক্ষেত্রে এন্ট্রি ফি ২ হাজার সৌদি রিয়াল আদায় বাধ্যতামূলক করায় হাজী পাঠানোর ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়। এছাড়া কিছু হজ এজেন্সি প্রতিবছর বিলম্বে বাড়ী ভাড়া করে। এ বছর হজযাত্রী বৃদ্ধি, মোয়ালেম ফি বৃদ্ধি এবং টিকেট সিন্ডিকেটের অতি মুনাফার মানসিকতার কারনে সমস্যার সৃষ্টি হয়। তবে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করায় নির্ধারিত সময়ে বাড়ী ভাড়া সম্পন্ন করে। অতি মুনাফার মানসিকতার হজ এজেন্সি বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগের বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। মন্ত্রী আরো জানান, বিমান বাংলাদেশ এবং সৌদি এ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স নিয়োজিত টিকেটিং এজেন্সিগুলো কোন হজ এজেন্সির কাছে কখন বা কতটি টিকেট বিক্রি করেছিল তার কোন তালিকা না পাওয়ায় কিছু সংখ্যক হজ এজেন্সি ও তাদের হজযাত্রীদের সময়মত বিমানে উড্ডয়নের বিষয়টি কাক্সিক্ষত মাত্রায় মনিটরিং করা সম্ভব হয়নি। সরকারের শতভাগ প্রচেষ্টা থাকা সত্বেও নানাবিধ সমস্যার কারণে কিছু কিছু ত্রুটি দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত সরকারের প্রচেষ্টায় তা নিরসন হয়। সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা বেগমের প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান জানান, জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি অনুসরণপূর্বক বাজেট অনুযায়ী সরকার কর্তৃক মনোনিত একটি নির্দিষ্ট সংখ্যেক ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে সরকার ঘোষিত সর্বনিম্ন প্যাকেজমূল্যে পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবের মক্কায় পাঠানো হয়। ২০১৭ সালের হজে এর সংখ্যা ৩২০ জন। সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনুর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০১৭ সালে হজ কার্যক্রমে অনুমোদিত হজ এজেন্সির সংখ্যা ১ হাজার ১৬২টি, অংশগ্রহণকারী হজ এজেন্সীর সংখ্যা ৬৩৫টি। প্রতি বছর অনুমোদিত হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করা হয় যাতে কেউ কোন দালাল বা অসাধুচক্রের খপ্পরে না পড়েন। অনুমোদিত এজেন্সীর মধ্যে যদি কেউ কোন প্রতারণা বা হয়রানির চেষ্টা করে তাহলে কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অথবা স্ব-উদ্যোগে মন্ত্রণালয় কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসনিক দলের মাধ্যমে তদন্ত সাপেক্ষে একাধিক প্রকার শাস্তি প্রদান করে থাকে।
×