নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা ॥ বরগুনার আমতলী উপজেলার ছোনাউডা গ্রামের চাচা মোঃ মনির চৌকিদারের (৫০) লালসার শিকার হয়ে ভাতিজি সপ্তম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ চাচা মনির চৌকিদারকে বৃহস্পতিবার আটক করেছে।
পরিবার ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার সপ্তম শ্রেনীর ওই ছাত্রী বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে চাচা মনির চৌকিদার দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছে। গত ২০ ফেব্রুয়ারী ওই ছাত্রীকে চাচা মনির চৌকিদার বাড়ীতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। লোক লজ্জার ভয়ে ছাত্রী এ ঘটনা কাউকে জানায় নি। এতে ছাত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। গত রবিবার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখে মা মেয়ের কাছে ঘটনা জানতে চায়। পরে ছাত্রী মায়ের কাছে সকল ঘটনা খুলে বলে।
সোমবার মেয়ের শারীরিক পরীক্ষার জন্য আমতলী তামান্না ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার নিয়ে আসে। এতে ওই ছাত্রী ২৭ সপ্তাহ ৫ দিন অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে প্রতিবেদন উল্লেখ করেন। বৃহস্পতিবার ছাত্রীর বাবা আমতলী থানা পুলিশকে জানায়। পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত চাচা মনির চৌকিদারকে গ্রেফতার করে। ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(১) ধারায় চাচা মনির চৌকিদারকে আসামী করে আমতলী থানায় মামলা করেন। পুলিশ চাচা মনিরকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরন করেছে। আদালতের বিচারক হুমায়ূন কবির তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
ছাত্রীর মা বলেন মেয়ের শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখে মেয়ের কাছে জানতে চাই। মেয়ে আমাকে সকল ঘটনা খুলে বলে ওর চাচা ওকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করেছে।
ছাত্রীর বাবা অভিযোগ করেন মেয়ে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে আমার চাচাতো ভাই মনির চৌকিদার উত্ত্যক্ত করতো। গত ২০ ফেব্রুয়ারী আমার মেয়েকে বাড়ীতে একা পেয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। এতে মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকতা (তদন্ত) নুরুল ইসলাম বাদল বলেন ছাত্রীর পরিবারের দেয়া শারীরিক পরীক্ষা প্রতিবেদনে ওই ছাত্রী ২৭ সপ্তাহ ৫ দিনের অন্তঃসত্ত্বা উল্লেখ আছে। পুনরায় পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চাচা মনির চৌকিদারকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছি।
