ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থাকে তুলনার বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি

প্রকাশিত: ০২:১৬, ২৩ আগস্ট ২০১৭

পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থাকে তুলনার বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ প্রধান বিচারপতির পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থাকে তুলনার বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশকে পাকিস্তানের সাথে তুলনা করার অর্থই হচ্ছে এদেশের স্বাধীনতা ও ৩০ লক্ষ শহীদকে অবমাননা করার শামিল। যখন পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশেকে শিক্ষা নিতে বলা হয় তখন তা হয় এদেশের অস্তিত্বের সাথে হুমকিস্বরূপ। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারকে সমালোচনা করার ক্ষমতা জনগনের হাতে থাকলে, বিচাপতি কেন এই ব্যবস্থার বাইরে থাকবে? বুধবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পায়রা চত্বরে ‘বিচারপতি তোমার বিচার করবে কারা? আজ জেগেছে এই জনতা’ এই স্লোগানে কালো পাতাকা মিছিল পূর্ববর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জোটের নেতাকর্মীরা এসব কথা বলেন। জোটের নেতারা বলেন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকারকে অভিসংশন করার ক্ষমতা রাখলে বিচারপতি কেন এই আওতার বাইরে থাকবেন? বিচারপতি বা প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে বিচার চলবে না। এ কেমন উল্টো রাজার দেশ? তাহলে এটি আর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ থাকলো না, বিচারপতিতন্ত্রী বাংলাদেশে পরিণত হবে। তাই প্রধান বিচারপতিকে অনতিবিলম্বে তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফের সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসুফ, কবি সামাদ, কবি নূরুল হুদা, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রোকেয়া প্রাচীসহ আরও অনেকেই। প্রধান বিচারপতির বক্তব্যকে দেশের সঙ্কটময় পরিস্থিতি হিসেবে আখ্যায়িত করে গোলাম কুদ্দুছ বলেন, চেতনার তাগিদে আমরা আজকে এখানে দাড়িয়েছি। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের কিছু বলার আছে। নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের দ্বারা জনগনের মতামত প্রতিফলিত হয়। আর সংসদকে কটাক্ষ করলে দেশের জনগনকে কটাক্ষ করা হয়। আমরা অবাক হয়েছি যাদের বিরুদ্ধে ২৩ বছর লড়াই করেছি তারা যদি আমাদের সাথে তুলনীয় হয় তবে স্বাধীন বাংলাদেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে এটা আমাদের জন্য লজ্জার। তাই আপনি আপনার বক্তব্য ফিরিয়ে নিন। নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, যখন বাংলাদেশকে পাকিস্তানের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে বলা হয় তখন তা এদেশের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ হয়ে দাড়ায়। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীন, স্পিকারকে অভিসংশন করার ক্ষমতা রাখে সংসদ। সেখানে বিচারপতি কেন এই আওতার বাইরে থাকবে? কর্মসূচীর শুরতেই পাকিস্তানী দোসর ও বর্তমানে তাদের উত্তসূরীদের দেশে অবস্থান ও কর্মকান্ড নিয়ে একটি পথনাটক প্রদর্শিত হয়। পরে একটি কালো পতাকা মিছিল বের করেন জোটের নেতারা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
×