ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

লন্ডনে হামলাকারী খালিদ মাসুদ, আইএস সদস্য!

প্রকাশিত: ০৮:১০, ২৪ মার্চ ২০১৭

লন্ডনে হামলাকারী খালিদ মাসুদ, আইএস সদস্য!

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টারে পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণে হামলার জন্য দায়ী ব্যক্তির নাম খালিদ মাসুদ বলে জানিয়েছে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ। সে জন্মসূত্রে ব্রিটিশ বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। এদিকে এই হামলাকারীকে নিজেদের ‘সৈনিক’ দাবি করেছে জঙ্গীগোষ্ঠী আইএস। খবর এএফপি, বিবিসি ও সিএনএনের। হামলার পর পুলিশের গুলিতে নিহত মাসুদ সম্প্রতি গোয়েন্দাদের নজরদারিতে ছিলেন না। তার সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পরিকল্পনা সম্পর্কেও কোন আগাম গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে অতীতে তার অপরাধমূলক কর্মকা- এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র বহনের রেকর্ড আছে। ৫২ বছর বয়সী মাসুদের জন্ম লন্ডনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কেন্ট-এ। কিছুদিন তিনি ওয়েস্ট মিডল্যান্ডে ছিলেন বলে ধারণা গোয়েন্দাদের। অন্যদিকে ব্রিটেনের ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজে হামলার ঘটনার পর লন্ডন ও সেন্ট্রাল ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে শহরের ছয়টি বাড়িতে রাতভর অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত পুলিশ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। মেট্রোপলিটন পুলিশের সন্ত্রাস-দমন বিভাগের শীর্ষ একজন কর্মকর্তা মার্ক রাউলি বলেছেন, কয়েকশ’ গোয়েন্দা পুলিশ রাতভর এ অভিযান চালিয়েছে। এছাড়া পুলিশ বুধবারের হামলায় নিহতের সংখ্যা সংশোধন করে তিনজন বলে জানিয়েছে। ব্রিটেনের শীর্ষ সন্ত্রাস দমন পুলিশ কর্মকর্তা মার্ক রাউলি বলেন, ‘আমরা সাতটি ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছি।’ মার্ক এর আগে লন্ডনে বুধবারে সন্ত্রাসী হামলায় চারজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন। লন্ডনের পুলিশ বলছে, হামলাকারী আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে হামলা চালিয়েছে বলে তারা মনে করছেন। রাউলি এর আগে বলেন, হামলাকারীর পরিচয় তারা জানতে পেরেছেন। এর আগে মার্ক রাউলি বলেছিলেন, এই হামলার ঘটনা ইসলামপন্থীদের কাজ হতে পারে বলে তারা মনে করছেন। তবে এখন বলা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের দ্বারা উৎসাহিত হয়ে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। এ নিয়ে এর বিশদ কিছু জানাননি তিনি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে এ হামলাকে অসুস্থ এবং বিকৃত মানসিকতার বলে অভিহিত করেছেন। লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজে এবং পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে চালানো ওই হামলায় হামলাকারীসহ ৫ জন নিহত হয়। এতে আহত হয়েছেন ৪০ জনের মতো। পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে হামলাকারীর গাড়িটি আঁছড়ে পড়ে। ছুরি হাতে হামলাকারী পার্লামেন্টের দিকে দৌড়ানোর সময় নিরস্ত্র পুলিশ সদস্য তাকে বাধা দিলে হামলাকারীর ছুরিকাঘাতে সে নিহত হয়। এরপর অস্ত্রধারী পুলিশের গুলিতে হামলাকারীও প্রাণ হারায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ হামলার পর ব্রিটেনের প্রতি আমেরিকার সরকারের পূর্ণ সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। ব্রাসেলসে সন্ত্রাসী হামলার শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়া ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যাঁ ক্লদে জাঙ্কার জানিয়েছেন, লন্ডনে এই হামলা তাকে ‘ভীষণ আবেগপ্রবণ’ করেছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান বলেছেন, তুরস্ক ব্রিটেনের কষ্টে সমব্যথী। ব্রিটেনে হামলার সময় ফরাসি শিক্ষার্থীরা আহত হওয়ার ঘটনায় তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মধ্যরাতে আইফেল টাওয়ারের সব আলো নিভিয়ে দেয়া হয়।
×