ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

তাজিয়া মিছিল ঘিরে তিন স্তরের নিরাপত্তা আশুরার দিন

প্রকাশিত: ০৮:৪৪, ৭ অক্টোবর ২০১৬

তাজিয়া মিছিল ঘিরে তিন স্তরের নিরাপত্তা আশুরার দিন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এবার আশুরার দিন তাজিয়া মিছিল ঘিরে থাকছে তিনস্তরের নিরাপত্তা বলয়। মিছিলে ছুরি, কাঁচি ও বল্লম নিয়ে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধু ১০ অক্টোবর সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত তাজিয়া মিছিল হবে। আর ১১ ও ১২ অক্টোবর দিনের বেলায় তাজিয়া মিছিল করার নির্দেশ জারি করেছে পুলিশ। মিছিলে বহনকারী নিশানের উচ্চতা ১২ ফুটের বেশি হতে পারবে না। গত বছর তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় ভোরে হোসেনী দালানে জঙ্গী বোমা হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ কারণে এবার সেখানে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশের সর্বক্ষণিক নজরদারি চলবে বলে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জানান। বৃহস্পতিবার হোসেনী দালান পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, গত বছরের হোসেনী দালানে নাশকতার বিষয়টি মাথায় রেখেই এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে ১০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা, ১১ অক্টোবর সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা এবং আশুরার দিন ১২ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে দুপুরের মধ্যেই তাজিয়া মিছিল শেষ করতে বলা হয়েছে। মিছিলে তলোয়ার, ছুরি, কাঁচি ও বল্লম বহন করা যাবে না। মিছিলের সময় নিশানের উচ্চতা ১২ ফুটের বেশি হতে পারবে না। তাজিয়া মিছিলে ও শারদীয় দুর্গাপূজায় সব ধরনের পটকা বা আতশবাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হোসেনী দালান থেকে মূল তাজিয়া মিছিলে বাইরের কেউ অংশ নিতে চাইলে তাকে আগে ইমামবাড়া কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। হোসেনী দালানে সবাইকে আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে ঢুকতে হবে। পুরো হোসেনী দালান এলাকা সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি করা হবে। যেসব জায়গা থেকে তাজিয়া মিছিল বের হয়, সেসব জায়গায় কড়া নিরাপত্তা বলয় থাকবে। আশুরা উপলক্ষে পুরান ঢাকায় হোসেনী দালান থেকে শিয়া সম্প্রদায় মতাবাদে বিশ্বাসীরা তাজিয়া মিছিল বের করেন। কারবালার রক্তাক্ত স্মৃতিস্মরণে এ সময় অনেককে ‘হায় হোসেন-হায় হোসেন’ মাতম তুলে নিজের দেহে আঘাত করে রক্ত ঝরাতে দেখা যায়। এ কারণে অনেকেই ছুরি, কাঁচি, বল্লম ও শেকল বহন করে থাকেন। পুলিশ কমিশনার জানান, শিয়া সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ কথা দিয়েছেন, তারা এ ধরনের কাজ এবার করবেন না। এমনকি যারা করেন, তাদেরও নিষেধ করবেন।
×