নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী, ১৯ ডিসেম্বর ॥ ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, মহিলা সংসদ সদস্য লুৎফুননেছার স্বামী এ্যাডভোকেট সুলতান আহমেদ মৃধার বিরুদ্ধে শহরের বেশ কয়েকটি স্থানে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করে সুলতান মৃধাও পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে পটুয়াখালী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে উভয়পক্ষ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলে। শুক্রবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা শামসুর রহমান খান। লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, শুক্রবার ভোরে সুলতান আহমেদ মৃধা দেড় থেকে দুই শ’ অস্ত্রধারী নিয়ে শহরের কলেজ রোডে তার বসতবাড়ির সামনে খালি জায়গা দখল করে নেয়। এ সময় সেখানে অবৈধভাবে একটি সাইবোর্ডও টাঙিয়ে দেয়া হয়, যাতে সুলতান আহমেদ মৃধার ক্রয়সূত্রে ওই জমির মালিক বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগেও বর্তমানে দখলকৃত জমির দক্ষিণ পাশের খালি প্লটটিও একই ভাবে সুলতান মৃধা দখল করে তার স্ত্রী সংসদ সদস্য লুৎফুননেছার নামে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে পটুয়াখালী থানা পুলিশ ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের অবহিত করা হয়েছে বলেও শামসুর রহমান খান সংবাদ সম্মেলনে অবহিত করেন।
এদিকে শহরের জৈনকাঠী এলাকায় রাজ্জাক ভূঁইয়ার মালিকানাধীন ১৪ কুড়া (২৮০ শতক) জমিসহ তার মাছের ঘের অবৈধভাবে সুলতান মৃধা দখল করে নিয়েছে বলে রাজ্জাক ভূঁইয়া ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ করেন। এদিকে, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সুলতান আহমেদ মৃধা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, শহরের কলেজ রোড এলাকার ওই জমির প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে ‘পাওয়ার অব এ্যাটার্নি’ নিয়ে তিনি সীমানা প্রচীর ও সাইনবোর্ড দিয়েছেন। তবে ‘পাওয়ার অব এ্যাটর্নি’ বলে ক্রয়সূত্রে মালিক এমন সাইনবোর্ড টাঙানো যায় কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সুলতান মৃধা বলেন, ‘ভুলবশত ক্রয়সূত্রে মালিক লেখা হয়েছে’। এছাড়া শহরের জৈনকাঠী এলাকায় তার বিরুদ্ধে জমি দখলের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা বলেও তিনি দাবি করেন। এসব জমি তিনি নিজে ক্রয় করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান মোশারেফ হোসেন জানান, জমি দখলের বিষয়ে তাদের কাছে একাধিক অভিযোগ এসেছে।
ঈশ্বরদী মুক্ত দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা
স্টাফ রিপোর্টার, ঈশ্বরদী ॥ ঈশ্বরদী মুক্ত দিবস উপলক্ষে শনিবার দিনব্যাপী পাকশী পেপার মিল চত্বরে ভারতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, পুনর্মিলনী, পদক ও পুরস্কার বিতরণ, বর্ণাঢ্য র্যালি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অতিথিবিহীন এসব অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজুল ইসলাম রঞ্জু। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধকালীন কোম্পানি কমান্ডার এ্যাডভোকেট সদরুল হক সুধা, এম রশিদুল্লাহ, আব্দুল খালেক, তহুরুল ইসলাম মোল্লা, শামছুল আলম মুকুল ও আবুল বাশার বাদশা আলোচনায় অংশ নেন। অনুষ্ঠানে পাঁচ শ’ একজন মুক্তিযোদ্ধা অংশ নেন। ঈশ্বরদী শহর এলাকা অবাঙালী অধ্যুষিত ও পাকি বাহিনীর একটি ঘাঁটি থাকায় ঈশ্বরদী মুক্ত হয় ১৯ ডিসেম্বর।