ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন জাপানী ও কানাডীয় বিজ্ঞানী

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ৭ অক্টোবর ২০১৫

পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন জাপানী ও কানাডীয় বিজ্ঞানী

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ নিউট্রিনোর রূপান্তর নিয়ে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর পদার্থ বিদ্যায় নোবেল পেলেন জাপানী বিজ্ঞানী তাকাকি কাজিতা ও অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক আর্থার বি. ম্যাকডোনাল্ড। মঙ্গলবার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেসের মহাসচিব গোরান হ্যানসন এদের নাম ঘোষণা করেন। খবর বিবিসি, এএফপি ও ওয়াশিংটন পোস্টের। নোবেল কমিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তাকাকি কাজিতা ও ম্যাকডোনাল্ডের এই গবেষণা পদার্থের গভীরে কী ঘটে, সে বিষয়ে আমাদের ধারণা বদলে দিয়েছে। নিউট্রিনোর ভর নির্ণয়ে তাঁদের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে। এ আবিষ্কার কণার ধারণাগত মডেল ও মহাবিশ্বের শক্তি সম্পর্কিত প্রচলিত স্ট্যান্ডার্ড মডেলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। নতুন এ আবিষ্কারে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের ইতিহাস, গঠন ও ভবিষ্যত সম্পর্কে প্রচলিত ধারণার পরিবর্তন নিয়ে আসবে বলেও জুরিবোর্ড আশা প্রকাশ করেছে। নোবেল পাওয়ার খবরে উচ্ছ্বসিত আর্থার বি. ম্যাকডোনাল্ড বলেন, শুভ সকাল। নোবেল পাওয়ার খবরটি আমার কাছে অন্যরকম অভিজ্ঞতা। আমার অনেক সহকর্মী রয়েছেন। তাঁরাও এই পুরস্কারের ভাগীদার। কারণ তাঁরাও আমার এই গবেষণায় কঠোর শ্রম দিয়েছেন। বর্তমানে কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটিতে কাজ করছেন ম্যাকডোনাল্ড। মঙ্গলবার টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক টেলিফোন সাক্ষাতকারে তাকাকি কাজিতা বলেন, খবরটি অবিশ্বাস্য। আমি মনে করি আমার এই গবেষণার গুরুত্ব রয়েছে। পদার্থ বিদ্যায় আমার গবেষণা সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে। সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের শেষ ইচ্ছা অনুসারে গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবতার কল্যাণে অবদানের জন্য প্রতিবছর চিকিৎসা, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়। রীতি অনুযায়ী আগামী ১০ ডিসেম্বর স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকাকি কাজিতা ও আর্থার ম্যাকডোনাল্ডের হাতে নোবেল পুরস্কারের ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার তুলে দেয়া হবে। জ্বালানি সাশ্রয়ী উজ্জ্বল আলো তৈরি করতে পারে এমন নীল এলইডি (লাইট এমিটিং ডায়োড) উদ্ভাবনের জন্য গতবছর জাপানী গবেষক ইসামু আকাশাকি, হিরোশি আমানো ও সুজি নাকামুরা পদার্থে নোবেল পান।
×