ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৬ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে গিয়ে যা বললেন অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড়

চেন্নাইয়ের মাঠে এ কোন মুস্তাফিজ!

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:৪০, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

চেন্নাইয়ের মাঠে এ কোন মুস্তাফিজ!

মুস্তাফিজুর রহমান

আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে এবার মুস্তাফিজুর রহমানের শুরুটা ছিল স্বপ্নের মতো। ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে অভিষেকেই ২৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে হন ম্যাচসেরা। এরপর গুজরাটের বিপক্ষে ২ উইকেট নেন ৩০ রান দিয়ে। সর্বশেষ লক্ষেèৗ সুপারজায়ান্টসের বিপক্ষে ম্যাচের আগে পর্যন্ত ৬ ম্যাচে তার শিকার ছিল ১১ উইকেট, যেখানে চেন্নাইয়ের মাঠ চিপকের এম চিদম্বরমে ৩ ম্যাচে ৮টি। বাকি ৩ উইকেট বাইরের ভিন্ন তিন মাঠে।

হোম ভেন্যুতে রীতিমতো ত্রাস হিসেবে আবির্ভূত হন টাইগার বাঁহাতি পেসার। এবার সেখানেও তুলোধুনো হলেন। লক্ষেèৗর বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচে ১ উইকেট নিতে খরচ করলেন ৫১ রান। শেষ ওভারে ১৫ রান ডিফেন্ডস করতে গিয়ে নোসহ ৩ বলেই দিলেন ২০ রান! স্কোরবোর্ডে ২১০ রান তুলেও তার দল হারল ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে। 
শেষের ওভারগুলোয় চেন্নাইয়ের মূল ভরসা ছিলেন মুস্তাফিজ। কিন্তু তিন ওভারে যখন লক্ষেèৗর প্রয়োজন ৪৭ রান, তখন ১৮তম ওভারে তার ওভার থেকে রান আসে ১৫।

শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ১৭ রানের। দানবীয় ব্যাটিংয়ে মার্কাস স্টয়নিস (৬৩ বলে অপরাজিত ১২৪) খেলা শেষ করে দেন তিন বল বাকি রেখেই। একটি নো বলসহ ৩ বলেই ১৯ রান দেন মুস্তাফিজ। এমএ চিদম্বরাম স্টেডিয়ামে চলতি মৌসুমে চার ম্যাচ খেলে এই প্রথম ৩০ রানের বেশি খরচ করলেন বাংলাদেশী তারকা পেসার। নিজের প্রথম ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে লোকেশ রাহুলকে আউট করা মুস্তাফিজের শেষ পর্যন্ত বোলিং বিশ্লেষণ ৩.৩-০-৫১-১।

শার্দূল ঠাকুর ওভার প্রতি দিয়েছেন ১৪ রান, মুস্তাফিজ ১৪.৫৭, মাথিশা পাথিরানা ৮.৭৫Ñ এরপরও বোলারদের দোষারোপ করেননি অধিনায়ক, রাতে শিশির বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছিল বলে মনে করেন তিনি, ‘শিশির এখানে একটি ভূমিকা রেখেছে। আমার মনে হয়েছে, একটু বেশিই শিশির পড়েছে এবং তাতে আমাদের স্পিনাররা ম্যাচের বাইরে চলে গেছে। শিশির না পড়লে মাঝের ওভারগুলো আমরা আরও ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারতাম ও খেলা আরও গভীরে নিতে পারতাম। তবে এসবও ক্রিকেটের অংশ। যেসব ব্যাপার নিয়ন্ত্রণের বাইরে, তা তো বদলানো যায় না। টুর্নামেন্টের অনেক পথ এখনো বাকি।’
ঋতুরাজের কথা যদি সত্যি হয়, তাহলে বাকি ম্যাচগুলোতেও পরে বল করতে হলে শিশির বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে মুস্তাফিজের জন্য। তার বোলিংয়ের মূল অস্ত্র যে স্লোয়ার ও কাটার, সেসব ডেলিভারির গ্রিপ অনেকটা স্পিনারদের মতোই। ভেজা বল গ্রিপ করা একটু কঠিনই বটে। এই ম্যাচে ব্যর্থতার পরও সার্বিকভাবে ফিজকে ব্যর্থ বলা যাচ্ছে না।

৭ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি মুস্তাফিজ। ১৩টি করে উইকেট জাসপ্রিত বুমরাহ, যুবেন্দ্র চাহাল ও হার্ষাল প্যাটেলের। ঘরের মাঠে জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে ২ মে দেশে ফিরে আসবেন ফিজ, ১ মে এবারের আইপিএলে নিজের শেষ ম্যাচটি খেলবেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে। বিশ্বের সেরা টুর্নামেন্ট ছেড়ে জিম্বাবুয়ের মতো একটা দলের সঙ্গে সিরিজ খেলা কতটা যুক্তিসঙ্গত, সেই প্রশ্ন উঠছে। আইপিএলে মুস্তাফিজের শেখার কিছু নেই, জালাল ইউনুসের এমন মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন হার্ষা ভোগলে।

×