স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়েই চলেছেন। ঠেকানোর কেউ নেই। এবার ইউএস ওপেন জিতে ১০ গ্র্যান্ডসøাম ঘরে তোলা হয়ে গেছে। কিন্তু ২৮ বছর বয়সী সার্বিয়ান তারকা নোভাক জোকোভিচের বেশি কিছু অর্জনের জোর সম্ভাবনাই দেখতে পাচ্ছেন টেনিস বিশ্বের বোদ্ধারা। টেনিসের ইতিহাসে সবেমাত্র অষ্টম ব্যক্তি হিসেবে গ্র্যান্ডসøাম জয়ের ক্ষেত্রে দুই অঙ্কের কোটা ছুঁয়েছেন। এখন পর্যন্ত ১৭ গ্র্যান্ডসøাম জিতে সুইজারল্যান্ডের রজার ফেদেরার সবার ওপরে। গত ৫ বছর ধরে যে ফর্মে আছে জোকোভিচ তাতে করে ফেদেরারকে ছাড়িয়ে যাওয়া তেমন কঠিন কিছু নয়। টেনিসের সেরা খেলোয়াড় হয়ে উঠবেন তিনি এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে জোকোভিচকে। ফেদেরারকে ছোঁয়ার জন্য জিততে হবে আরও ৭ গ্র্যান্ডসøাম। চার বছর পর এবার ইউএস ওপেন জিতেছেন এ সার্বিয়ান। তবে ফেদেরারের চেয়ে ৬ বছরের ছোট তিনি বয়সে। ফর্মের তুঙ্গে থাকা জোকোভিচ এ বছর সব গ্র্যান্ডসøামেরই ফাইনাল খেলেছেন। ফ্রেঞ্চ ওপেন ছাড়া জিতেছেন সবই। টেনিসের ইতিহাসে এক মৌসুমে সব গ্র্যান্ডসøাম আসরের ফাইনাল খেলা তৃতীয় ব্যক্তি জোকোভিচ। রড লেভার ও ফেদেরারও এই রেকর্ডের মালিক। ১৯৯০ সালে মাস্টার্স সিরিজ চালুর পর সবমিলিয়ে ২৪ মাস্টার্স জিতে দ্বিতীয় অবস্থানে জোকোভিচ। টানা তিনবার এবং সবমিলিয়ে ৫ বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতা একমাত্র খেলোয়াড় তিনি। পুরুষ এককে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের (৫ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট) গ্র্যান্ডসøাম ফাইনাল খেলার রেকর্ড তার দখলে। হার্ডকোর্টে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের হার ৮৩.৩৩% জোকোভিচের। সার্বিয়ান হিসেবে তার আগে আর কোন টেনিস তারকা ১০০ সপ্তাহের বেশি শীর্ষে থাকতে পারেননি এবং প্রথম সার্বিয়ান তিনি যে একাধারে কয়েকটি গ্র্যান্ডসøাম জিততে পেরেছে। ১৯৬৯ সালে সর্বশেষ ক্যালেন্ডার গ্র্যান্ডসøাম জয়ের ঘটনা ঘটেছিল। এ বছর জোকোভিচ সেই রেকর্ড ছোঁয়ার মোক্ষম সুযোগটা হারিয়েছেন ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে হেরে। ২০১১ সালেও তিন গ্র্যান্ডসøাম জিতেছিলেন তিনি।
নিউইয়র্কে চার ফাইনালে হেরে গিয়েছিলেন জোকোভিচ। কিন্তু রবিবার ফাইনালে অবশেষে জিতে গেলেন। সর্বশেষ ২০ গ্র্যান্ডসøামের মধ্যে ৯টিতেই শিরোপা জিতেছেন ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন দিয়ে গ্র্যান্ডসøাম শিরোপা জয়ের প্রথম স্বাদ পাওয়া জোকোভিচ। এছাড়া আরও ৬টিতে হয়েছেন রানার্সআপ। অপরদিকে, গত তিন বছরে কোন গ্র্যান্ডসøাম জিততে ব্যর্থ হয়েছেন ফেদেরার। ২০১২ সালে সর্বশেষ উইম্বল্ডন জিতেছিলেন। আর মেজর আসরের ৭ ফাইনালের পাঁচটিতেই পরাজয় দেখেছেন তিনি। অবশ্য, জোকোভিচের আগেই ফেদেরারকে ছোঁয়ার সুযোগ আছে স্প্যানিশ তারকা রাফায়েল নাদালের। তিনি ১৪ গ্র্যান্ডসøাম জিতেছেন। যদিও সম্প্রতি আর ছন্দে নেই এ স্প্যানিয়ার্ড। ২০১৩ সালে সর্বশেষ গ্র্যান্ডসøাম হিসেবে ইউএস ওপেন জিততে পেরেছিলেন তিনি। অব্যাহত ইনজুরির কারণেই নিজেকে যেন হারিয়ে ফেলেছেন নাদাল। ইউএস ওপেন জয়ের পর এবার জোকোভিচ বলেন, ‘আমি নিজেকে খুব গর্বিত ও সম্মানিত মনে করছি এত গ্র্যান্ডসøাম শিরোপা জয়ের পর। ভাবতে ভাল লাগছে যে কিংবদন্তিদের এবং এলিট গ্রুপের খেলোয়াড়দের কাতারে আমারও নাম চলে এসেছে।’ ১১টি করে গ্র্যান্ডসøাম জিতেছেন লেভার ও বিয়র্ন বর্গ। এ বিষয়ে জোকোভিচ বলেন, ‘তাদের কাছাকাছি পৌঁছতে পারা বিশেষ এক অর্জন। আমার বয়স ২৮ এবং এখন আমি নিজের শরীরের পরিচর্যার ক্ষেত্রে খুব সতর্ক। আমি এটাকে আমার টেনিস ক্যারিয়ার এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব দেই।’
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: