
ছবি: সংগৃহীত
টিম ওয়ারস্টলের কলামে যুক্তিগুলো খুবই স্পষ্ট: আজকের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, বিশেষ করে LLM বা লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলগুলো, আমাদের জীবনে কীভাবে ব্যবহৃত হবে—এই প্রশ্নে অর্থনীতির একটি পুরনো ধারণাই সাহায্য করতে পারে: বিকল্প (Substitute) বনাম সহায়ক (Complement)।
Substitute মানে হলো কিছু একটা বাদ দিয়ে তার পরিবর্তে অন্য কিছু ব্যবহার করা। যেমন: আলু তোলার জন্য হাতের পরিবর্তে কোদাল।
Complement মানে হলো এমন কিছু, যা আমাদের দক্ষতাকে বাড়িয়ে তোলে। যেমন: বই বা ক্যালকুলেটর—যা আমাদের হিসাব বা জ্ঞানের সক্ষমতা বাড়ায়।
ঠিক এইভাবেই এআই কাজ করে। খারাপ প্রোগ্রামারদের জন্য AI একটি বিকল্প, কিন্তু ভালো প্রোগ্রামারদের জন্য এটি তাদের কাজের গতি ও মান উন্নত করার সহায়ক।
ভবিষ্যতের শিক্ষা হবে এই শেখানো—কোন টুল কখন ব্যবহার করতে হবে। যেমন কৃষি কলেজে শেখানো হয়, কখন হাতে কাজ করতে হবে, কখন কোদাল, কখন ট্রাক্টর ব্যবহার করা উচিত।
তাঁর যুক্তি হলো—এআই আসলে হাত বা ট্রাক্টরের মতোই এক উপকরণ। এটি সবাইকে প্রতিস্থাপন করবে না, বরং দক্ষ ও অনুকূল মানুষদের আরো কার্যকর করে তুলবে। আর যারা অদক্ষ, তাদের নতুন কিছু শেখার বা অন্য কাজে নিযুক্ত হবার সুযোগ তৈরি করবে।
এআই না বরং কীভাবে ও কোথায় তা ব্যবহার করা হবে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। এআই আমাদের কর্মজগতে মানুষকে পুরোপুরি প্রতিস্থাপন করবে না, তবে পরিবর্তন আনবে—যা কৃষিকাজ থেকে প্রযুক্তি, সবখানেই ঘটছে। ঠিক যেমন এখনো মানুষ স্ট্রবেরি তোলে হাতে, যদিও ধান চাষে ট্রাক্টর চলে।
আঁখি