অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) কোন কোম্পানির শেয়ারের প্রস্তাবিত দর নির্ধারণে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কোন ভূমিকা নেই। এছাড়া কোম্পানির জমি, কারখানা, উৎপাদন ক্ষমতাসহ আর্থিক তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের দায়িত্বও বিএসইসির নয়।
আইপিও অনুমোদন সংক্রান্ত নীতিমালা ও পদ্ধতির বিষয়ে দেয়া ব্যাখ্যায় এ কথা বলেছে বিএসইসি। এতে বলা হয়েছে শেয়ারের তথ্যের জন্য ইসু্যূ ম্যানেজার, নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংস্থার দায়িত্বের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। অতীতে এ ধরনের দায়িত্বে অবহেলার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত কিছুদিন ধরেই বেশ কয়েকটি আইপিওর প্রিমিয়াম নিয়ে নানামুখী আলোচনা চলছে। এছাড়া নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে ম্যানেজ করে প্রায় বন্ধ হতে বসা কয়েকটি কোম্পানির আইপিও অনুমোদন করিয়ে নেয়ারও অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রক্ষিতে গত মাসের প্রথম ভাগে অর্থ মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে বিএসইসিকে আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে সিকিউরিটিজ আইনের বিভিন্ন ধারা সঠিকভাবে অনুসরণ করার নির্দেশ দেয়। কার্যত ওই চিঠির মাধ্যমে ইঙ্গিত দেয়া হয়, আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিএসইসির ভূমিকায় সন্তুষ্ট নয় মন্ত্রণালয়। এই চিঠির পর আইপিও অনুমোদনে বিএসইসি অস্বস্তিবোধ করতে থাকে। সাতটি কোম্পানির আইপিও প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে থাকলেও গত মাসে তার একটিকে অনুমোদন দেয়নি বিএসইসি। সোমবার বিএসইসির ওয়েবসাইটে আইপিও অনুমোদন সংক্রান্ত একটি বিবরণী সংযুক্ত করে সংস্থাটি। নিচে তা দেয়া হলো- বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ এর মুখবন্ধ এবং ধারা ৮(১) উল্লিখিত দায়িত্ব ও কার্যাবলী অর্থাৎ আইনের বিধান এবং বিধির বিধানাবলী সাপেক্ষে, সিকিউরিটির যথার্থ ইস্যু নিশ্চিতকরণ, সিকিউরিটিতে বিনিয়োগকারীদের সংরক্ষণ এবং পুঁজি ও সিকিউরিটি বাজারের উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।