স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের শিরোপা জিতে অস্ট্রেলিয়া। আর শনিবার সিডনিতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার সভাপতি সেপ ব্লাটার। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে অবহেলার শিকার হয়েছেন তিনি। ভক্ত-অনুরাগীরা তাকে সেভাবে চিনতে পারেনি। এর পেছনে মূল কারণ হলো ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে সেপ ব্লাটার ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় থাকলেও এশিয়াতে তেমনটি নয়। অস্ট্রেলিয়াতেও সেপ ব্লাটার নামটি তেমন জনপ্রিয় নয়। শনিবার সিডনিতে সেপ ব্লাটার অবহেলিত হওয়ার আরেকটি কারণও রয়েছে। ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার জন্য আগ্রহী ছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সেবার কাতারের কাছে পরাজয় মানে সকারুরা। তবে সেবার কাতারের কাছে হারলেও অস্ট্রেলিয়াকে আবারও আয়োজক হওয়ার জন্য আহ্ব¦ান জানিয়েছেন ব্লাটার। তিনি জানিয়েছেন বিশ্বকাপের মতো বিশাল একটি টুর্নামেন্টের আয়োজক হওয়ার সকল যোগ্যতাই অস্ট্রেলিয়ার রয়েছে। একবার হার মানা মানেই যে সব শেষ তা নয়। বরং সাফল্য পেতে হলে ঝুকিও নিতে হবে। এ বিষয়ে সেপ ব্লাটার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘২০২২ বিশ্বকাপে আয়োজক হওয়ার জন্য চেষ্টা করেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সেবার তারা কাতারের কাছে হার মানে। এর মানে এই নয় যে তারা আবারও বিশ্বকাপ আয়োজক হতে চ্যালেঞ্জ নিবে না। আপনি যতই চ্যালেঞ্জ নিবেন ততই যেমন হারার সুযোগ আছে। তেমনি সুযোগ আসে জেতারও।’ এদিন সেপ ব্লাটারের সঙ্গে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) প্রধান সালমান বিন ইব্রাহিম আল খলিফাও উপস্থিত ছিলেন। আর দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন হওয়াই আনন্দ প্রকাশ করেছেন তিণি। এ বিষয়ে স্বাগতিক দেশকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন আল খলিফা। এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের শিরোপা জয়ের স্বাদ পেল অস্ট্রেলিয়া। আর তারা নিজেদের সমর্থকদের সামনেই অসামাণ্য এই কীর্তি গড়ল যা আসলেই বিশেষ কিছু। আমি মনে করি যোগ্য দল হিসেবেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। টুর্নামেন্টের প্রথম থেকেই অসাধারণ পারফরমেন্স উপহার দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। যা এশিয়ার অন্য দলগুলোরও অনুসরণ করা উচিত।’ ২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কনফেডারেশনের সঙ্গে যুক্ত হয় অস্ট্রেলিয়া। আর দীর্ঘ নয় বছর পর প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হল তারা। তাই অস্ট্রেলিয়ার পারফরমেন্সের প্রশংসা করেছেন ফিফার সভাপতি সেপ ব্লাটারও। সেইসঙ্গে তিনি এক কলামে লিখেছেন যে, বিশ্বকাপ আয়োজন করার মতো অস্ট্রেলিয়ার সবকিছুই রয়েছে। আগামী মে মাসে ফিফার সভাপতি নির্বাচনে পঞ্চমবারের মত প্রার্থী হিসেবে নিজের মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছেন ব্লাটার। আর তাই নির্বাচনী কৌশল হিসেবেও অস্ট্রেলিয়ার সাফাই গাইছেন ব্লাটার। অনেকেই এমনটা মনে করছেন। ১৯৮১ এবং ১৯৯৩ সালে অনুর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের আয়োজক হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া ১৯৫৬ সালের মেলবোর্ন অলিম্পিক এবং ২০০০ সালের সিডনি অলিম্পিক এখানকার ক্রীড়াঙ্গনকে নতুন মাত্রা যোগ করেছিল।