ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

এএইচএফ কাপ হকির ফাইনালে আজ মুখোমুখি বাংলাদেশ-ওমান

এবার বাংলাদেশের ৭ গোল শ্রীলঙ্কার জালে

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ৭ ডিসেম্বর ২০১৪

এবার বাংলাদেশের ৭ গোল শ্রীলঙ্কার জালে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এ যেন ওমান-বাংলাদেশে ম্যাচের কার্বন কপি। সেই একই ভেন্যু, একই স্কোরলাইন। তবে বদলে গেছে কেবল প্রতিপক্ষ। অর্থাৎ ওমানের জায়গায় এবার শ্রীলঙ্কা। এএইচএফ কাপ জুনিয়র হকিতে বাংলাদেশ অনুর্ধ-২১ হকি দল ৭-০ গোলে হারায় লঙ্কাবাহিনীকে। মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের প্রথম ম্যাচে ওমানক ১-১ গোলে চাইনিজ তাইপের সঙ্গে ড্র করে আজ রবিবার ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে নাম লিখিয়েছে। আজ বেলা আড়াইটায় ফাইনাল খেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করবে এটিএন বাংলা। এর আগে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে বেলা সাড়ে ১১টায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে চাইনিজ তাইপে-শ্রীলঙ্কা। এই ওমানকেই ৭-০ গোলে হারিয়ে বৃহস্পতিবার এ টুর্নামেন্টের ফাইনাল রাউন্ড আগেই নিশ্চিত করেছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের সেরা দু’দলের একটি হয়ে আগামী ২০১৫ সালে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য অনুর্ধ-২১ এশিয়া কাপে খেলা নিশ্চিত করেছিল স্বাগতিকরা। ওমান ও চায়নিজ তাইপের সমান পয়েন্ট ৭। কিন্তু গোল ব্যবধানে ফাইনালে উঠে গেল ওমান। তারা মোট ১১ গোল দিয়ে হজম করেছে ১০ গোল। এর বিপরীতে তাইপে ৯ গোল দিয়ে হজম করেছে ১৩ গোল। তাই প্লাস ১ গোলে এগিয়ে থেকে ফাইনাল নিশ্চিত করল মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি। বাংলাদেশের পক্ষে এদিন কোন গোল করতে না পারলেও মোট ৮ গোল করে শীর্ষ গোলদাতার আসনটি এখনও ধরে রেখেছেন খোরশেদুর রহমান। চার খেলায় বাংলাদেশ করেছে মোট ৩১ গোল, এটিও টুর্নামেন্টের দলগত সর্বোচ্চ। বিস্ময়করভাবে তাদের জালে ঢোকেনি একটি গোলও! বাংলাদেশ ৪ খেলায় পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ অবস্থানে। সমান ম্যাচে ২ জয়, ১ ড্র ও ১ হারে ওমানের পয়েন্ট ৭। অবস্থান দ্বিতীয়। ২ জয়, ১ ড্র ও ১ হারে সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল গড়ে চাইনিজ তাইপে তৃতীয়, ১ জয় ও ৩ হারে ৩ পয়েন্ট নিয়ে শ্রীলঙ্কা চতুর্থ এবং ৪ ম্যাচের সব হেরে শূন্য পয়েন্ট নিয়ে সর্বশেষ পঞ্চম অবস্থানে আছে থাইল্যান্ড। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের কোচ মামুনুর রশিদ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা কোর গোল খাইনি, এটা ভাল। তবে আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। স্কোরলাইন হিসেব করাটা আমাদের চিন্তা না। আমাদের চিন্তা একটাইÑ ফাইনালে জয় পাওয়া। আজকের খেলায় ডিফেন্স নিয়ে প্রথমে একটু চিন্তিত ছিলাম। কিন্তু ছেলেরা শূন্যস্থানটা পূরণ করতে পেরেছে। আমাদের বেস্ট ইলেভেন শুরু করি প্রথমার্ধে। প্রথমার্ধের পর যখন স্কোরলাইন সহজ হয়ে যায় তখন বেঞ্চে যারা বসে থাকে তাদের খেলার সুযোগ করে দেই। তাদের কম্বিনেশন আর বেস্ট ইলেভেনের কম্বিনেশনে একটু পার্থক্য হয়। যে কারণে খেলায় একটু ছন্দপতন ঘটে। এটা সাময়িক সমস্যা। এরপর যখন আরও ম্যাচ খেলব বা টুর্নামেন্ট খেলব তখন এমনটা হবে না। আমাদের দলটিই সবচেয়ে শক্তিধর, সেটা এখনই বলব না। চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে বলব। আগের ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশ যে ফর্মেশনে খেলেছে, ফাইনালে সেটি হচ্ছে না। আমাদের অনেক কম্বিনেশন আছে। তারই কিছু ফাইনালে প্রয়োগ করব।’ ম্যাচের ১৩ মিনিটে সারোয়ারের পাস থেকে বল পেয়ে মিলনের হিটে আসে বাংলাদেশের প্রথম গোল (১-০)। ১৭ মিনিটে মিলনের প্রচ- গতির হিট। শুয়ে পড়ে কানেক্ট করে গোল করেন কৌশিক (২-০)। ২২ মিনিটে বাংলাদেশের প্রথম পিসি। মিলন-সারোয়ার-আশরাফুল কম্বিনেশন। চমৎকার ড্রাগ এ্যান্ড পুশ করে গোল করেন আশরাফুল (৩-০)। ২৮ মিনিটে ফজলে রাব্বির রিভার্স হিটে চতুর্থ গোল আদায় করে নেয় বাংলাদেশ (৪-০)। ৪৪ মিনিটে ফজলে রাব্বির পাস থেকে ফ্লিক করে গোল করেন রোমান (৫-০)। ৪৭ মিনিটে রোমানের পাস থেকে গোল করেন আরশাদ (৬-০)। ৬৪ মিনিটে ফজলে রাব্বির পাস থেকে চমৎকার হিটে গোল করেন রোমান (৭-০)।
×