স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন
জামায়াতের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ আইন মন্ত্রণালয়ের কাজ বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। জামায়াতের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে কি না? এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আইন মন্ত্রণালয়ের কাজ। আইন মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়ে গেজেট নোটিফিকেশনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতারা তার সঙ্গে বৈঠক করতে আসেন। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান উপদেষ্টা।
এসময় আগামী ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের ছুটির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, এটার বিষয়ে আমি কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারব না। এটা কেবিনেটের কাজ। আমি কেবিনেটে ওটা আলোচনা করব।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এক সময় সেকুলারপন্থি দল ছিল, মিডল ক্লাসের। মুসলিম লীগ যখন ছিল, সেটি ছিল আপার ক্লাসের। কত বড় মানুষের দল...। যিনি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) এ দেশ স্বাধীন করেছেন, এতে তো কোনো সন্দেহ নেই। কারো সন্দেহ থাকার কথা না। উনার নামে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, স্বাধীনতা হয়েছে। সেই দল এমনভাবে ভেঙে পড়ে যাবে...। লোকজন লুকিয়ে বেড়াচ্ছে, আবার পেলে কী জানি হয়।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি ওনাদেরও আশা দিচ্ছি, কথা দিচ্ছি যে, আপনারা দল গুছিয়ে নেন, আপনাদের দলকে তো কেউ নিষিদ্ধ করেনি। যদি ওই ধরনের জঙ্গি না হয়, তবে একটা দলকে ব্যান করাটা আনলেস। কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা ভেরি ব্যাড কালচার।
রাজনৈতিক দলকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দেশ ছেড়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আপনি একে দিয়ে তাকে দিয়ে গন্ডগোল করাবেন, আমি আসছি, আমি যাব, আপনি আসবেন... এটা আপনার দেশ। আপনি আসেন না কেন? নাগরিকত্ব তো কারো যায়নি, ২১ বছর প্রধানমন্ত্রীত্ব করেছেন। আপনি স্বেচ্ছায় চলে গেছেন, আপনাকে তো কেউ যেতে বলেনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, স্বেচ্ছায় গেছেন, আপনি ভালো থাকেন, আবার আসেন। আমরা সবাই আপনাকে শ্রদ্ধা করি। অশ্রদ্ধা করছি না। কিন্তু, গন্ডগোল পাকানোর তো কোনো মানে হয় না। গন্ডগোল পাকিয়ে তো কোনো লাভ হবে না। বরং জনগণ আরও ক্ষেপে উঠবে।
এবি