ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১০ আগস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য কলিমুল্লাহ কারাগারে

প্রকাশিত: ১৮:১১, ৭ আগস্ট ২০২৫; আপডেট: ১৮:১৫, ৭ আগস্ট ২০২৫

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য কলিমুল্লাহ কারাগারে

ছবি: সংগৃহীত।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। এদিন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানানো হলে, শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের নামে ব্যাপক অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় সাবেক ভিসি কলিমুল্লাহসহ পাঁচজনকে আসামি করে গত ১৮ জুন মামলা করে দুদক।

বাকি চার আসামি হলেন-সাবেক উপাচার্য ও প্রকল্প পরিচালক একেএম নূর-উন-নবী, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্যসচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদার মো. আ. সালাম বাচ্চু এবং এমএম হাবিবুর রহমান।

এজাহার অনুযায়ী, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রকল্পের অনুমোদিত ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোপোজাল (ডিপিপি) উপেক্ষা করে নকশা পরিবর্তন করেন এবং প্রায় ৩০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের চুক্তি সরকারের অনুমোদন ছাড়া সম্পন্ন করেন।

এছাড়া, ঠিকাদারের রানিং বিল থেকে কেটে রাখা নিরাপত্তা জামানতের টাকা ব্যাংকে এফডিআর হিসেবে জমা রেখে ঠিকাদারকে লোন দিতে 'নো অবজেকশন সার্টিফিকেট' (NOC) অনুমোদনের মাধ্যমে সরকারের প্রায় ৪ কোটি টাকা আত্মসাত করা হয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়াও, চুক্তিতে অগ্রিম অর্থ প্রদানের কোনো বিধান না থাকা সত্ত্বেও অগ্রিম বিল দেওয়া হয় এবং সেই বিল সমন্বয়ের আগেই ব্যাংক গ্যারান্টি অবমুক্ত করা হয়। একইসঙ্গে প্রথম পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ডিজাইন উপেক্ষা করে সরকারি ক্রয়বিধি লঙ্ঘন করে দ্বিতীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়। দরপত্রে অস্বাভাবিক মূল্যদানের পরও নিয়ম অনুযায়ী মূল্যায়ন না করার অভিযোগ রয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।

মিরাজ খান

×