
ছবিঃ সংগৃহীত
অনন্ত বর্ষের রাজনৈতিক উত্তাপ ও গণআন্দোলনের পরবর্তী পরিপ্রেক্ষিতে সরকার-বিরোধী ঐক্যের প্রতীক হিসেবে ‘জুলাই সনদ’ তৈরির লক্ষ্যমাত্রায় যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মঞ্চে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গত ৬ জুন প্রধান উপদেষ্টা তার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে বলেন, আগামী জুলাই মাসে দেশের সব রাজনৈতিক দলের ঐক্যমত্যে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে
এটি হবে একটি বৈদেশিক দৃষ্টিতে শক্তিশালী প্রতিশ্রুতিপত্র, যেখানে থাকবে দেশের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, গণতান্ত্রিক পুনর্গঠন ও জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্র নির্মাণ–সংক্রান্ত ঐকমত্যের বিষয়বস্তু
বিশেষ বার্তা
যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে ব্রিটিশ এমপিদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই ‘জুলাই সনদ’ একটি জাতির সম্মিলিত মঞ্চ, যা বৈদেশিক পর্যবেক্ষকদের কাছে বাংলাদেশের প্রগতিশীল রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে তুলে ধরবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, নাগরিক সমাজ ও বিদেশী প্রতিনিধিদেরও এতে অংশগ্রহণে অনুরোধ জানিয়েছেন ।
তিনি আরও জানান যে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়কার শিক্ষার্থী–নেতা ও আন্দোলনকারীদের ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ তিনি ইতোমধ্যে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এবং পরবর্তীতে সেটিকে নাগরিক ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে একটি দায়িত্বশীল দলিলের মানে উন্নীত করেছেন
সনদের বৈশিষ্ট্য ও উদ্দেশ্য
এটি হবে একটি প্রতিশ্রুতিসূচক দলিল, যেখানে অন্তর্ভুক্ত থাকবে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য।
সনদে সই করে, রাজনৈতিক দলগুলো আশু সংস্কার কার্যকর করার অঙ্গীকার করবে, এবং নির্বাচনের পর তা বাস্তবায়নে দৃঢ়ভাবে বদ্ধপরিকর থাকবে
এই রূপকাঠামোর মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন
আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট এবং প্রতিক্রিয়া
ব্রিটিশ এমপিরা, বিশেষ করে যাঁরা দেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন পর্যবেক্ষণে আগ্রহী, তারা এই উদ্যোগে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণ হলো ইউপি এমপি রুপা হক–এর মতো প্রতিনিধিদের সাথে প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে তিনি নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও গণতান্ত্রিকতা নিশ্চিত করার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন ।
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের ‘জুলাই সনদ’ উদ্যোগ বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্য এক নতুন সোনালী সূচনা। এটি শুধু একটি দলিল নয়; এটি বিশ্ববাসীর জন্য বাংলাদেশের একটি নতুন রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করবে—যেখানে ঐক্য, প্রতিশ্রুতি এবং গণতান্ত্রিক সংস্কার উন্মুক্তভাবে ঘোষণা হয়। আগামী জুলাইয়ে এর বাস্তবায়ন ঘিরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর থাকবে, এবং এটি অঞ্চলের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় এক গুরুত্বপূর্ণ কাভার প্রদান করবে।
পৃথী