ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

গোপালগঞ্জে চাহিদার চেয়ে বেশি পশু প্রস্তুত

প্রকাশিত: ০৯:৩১, ৭ আগস্ট ২০১৯

গোপালগঞ্জে চাহিদার চেয়ে বেশি পশু প্রস্তুত

নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপালগঞ্জ, ৬ আগস্ট ॥ এবছর বিদেশী গরুর আমদানি না থাকলেও গোপালগঞ্জে দেশী গরুরই পর্যাপ্ততা রয়েছে। চাহিদার চেয়েও ২ হাজার গরু অতিরিক্ত প্রস্তুত করেছে জেলার খামারিরা। জেলার প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে এ বছর গোপালগঞ্জে প্রায় ৩৩ হাজার গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলার ৪ হাজারেরও বেশি খামারি প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করে প্রস্তুত করেছে। খামারিরাও মনে করছেন সম্পূর্ণ স্টেরয়েডমুক্ত তাদের এসব গরু বিক্রি করে এবছর তারা ভাল লাভবান হবেন। খামারিরা জানিয়েছে, তাদের এসব গরু অধিকাংশ সময়ই মাঠের ঘাস খেয়ে বেড়ে উঠেছে। তারপরও বর্ষায় বিভিন্ন মাঠে বিলে পানি উঠে এলে তখন বাড়িতে রেখেই লালন-পালন করা হয়েছে। প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজা করণের জন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ দিয়েছেন। সে অনুযায়ী এসব গুরুকে খাস, খড়-কুটা, গমের ভূষি ও কুড়া খাইয়েই মোটাতাজা করা হয়েছে। এতে তাদের খরচও কম হয়েছে। এছাড়াও প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে সময়মতো ভ্যাকসিন ও ওষুধ সহায়তা দেয়া হয়েছে। যেসব গুরু বাজারজাতকরণের উপযোগী শুধু সেগুলোই হাটে নেয়া হচ্ছে। বিদেশী গরু না এলে এ বছর তারা ভাল দাম পাবেন বলেই আশা প্রকাশ করেছেন। তবে গরু পালনের ক্ষেত্রে সরকারী লোন পেলে তারা আরও বেশি গরু কিনে লালন-পালন করতে পারবেন এবং স্বাবলম্বী হতে পারবেন- এমন মন্তব্য করেছেন খামারির অনেকেই। গোপালগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আজিজ আল মামুন বলেন, জেলার অধিকাংশই নিম্নঞ্চল বিল এলাকা। এখানে বর্ষার আগ পর্যন্ত মাঠে-বিলে প্রচুর পরিমাণে ঘাস জন্মে। এ থেকেই ৬-৭ মাসব্যাপী গরু পর্যাপ্ত খাবার পায়। বাকি সময়টাতে খড়-কুটা, গমের ভূষি ও কুড়া খাইয়েই গরুকে সুষ্ঠুভাবে মোটাতাজা করা সম্ভব। কোন স্টেরয়েড ব্যবহার না করে এ পদ্ধতিতেই গরু মোটাতাজা করা সবদিক থেকে ভাল এবং এতে খরচও খুব কম। এজন্য প্রতিবছরই এ পেশায় লোক বাড়ছে এবং বিল এলাকায় মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটছে। তিনি আরও জানান, এবছর কোরবানিতে গোপালগঞ্জের চাহিদা ধরা হয়েছে প্রায় ৩১ হাজার গরু। জেলায় চাহিদার চেয়েও অতিরিক্ত ২ হাজার গরু অর্থাৎ এবছর প্রায় ৩৩ হাজার গরু বাজারজাতকরণের উপযোগী করে প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। এ বছর খামারিরা বেশ লাভবান হবেন বলে তিনিও মত প্রকাশ করেন।
×