স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ পূর্ব সুন্দরবনের অগ্নিকা-প্রবণ এলাকায় আবারও মাছ ধরার হিড়িক চলছে। এলাকার একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ওই এলাকার ৮-৯টি বিলসহ ছোট ছোট খালে গত এক সপ্তাহ ধরে রাতের আঁধারে অবৈধভাবে কৈ, শোল ও মাগুরসহ অন্যান্য মাছ ধরা হচ্ছে। ফলে পূর্ব সুন্দরবনে আবারও অগ্নিকা- ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। সূত্রমতে, শরণখোলা উপজেলাসংলগ্ন পূর্ব সুন্দরবনের ধানসাগর স্টেশন আওতাধীন এলাকার বিলগুলোতে বর্ষা মৌসুমের শেষদিকে ওই এলাকার একাধিক চক্র বন বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহায়তায় অবৈধ লিজ নিয়ে কৈ, শোল ও মাগুরসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরে থাকে। সূত্র জানায়, এবারও তারা গত এক সপ্তাহ ধরে মাছ আহরণ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ধানসাগর ইউনিয়নের বটতলা, বান্দাঘাটা, উত্তর রাজাপুর এলাকার কয়েক ব্যক্তি জানান, সুন্দরবনের পচা কোরালিয়া, তুলাতলা, নাংলী, মূর্তির খাল, মাইডার খাল, নাপিতখালী, ছোট টেংড়া, বড় টেংড়া ও কলমতেজীর মাথায় বিল ও খালগুলোতে মাছ আহরণ অব্যাহত রয়েছে। বনসংলগ্ন বটতলা, রতিয়া রাজাপুর, উত্তর রাজাপুর, দক্ষিণ রাজাপুর, পশ্চিম রাজাপুর, বান্দাঘাটা এলাকার অর্ধশতাধিক ব্যক্তি ওই বিল ও খালগুলোতে প্রতিদিন বিকেলে মাছ ধরতে প্রবেশ করে। সারারাত কারেন্ট জাল পেতে মাছ ধরে আবার ভোর হওয়ার আগেই তারা চলে আসছে লোকালয়ে, যাতে কেউ বুঝতে না পারে। এ বিষয়ে কামাল তালুকদারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন বলে দাবি করেন। সংশ্লিষ্ট ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা হুমাউন কবির বলেন, তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কেউ যদি বনে প্রবেশ করে মাছ ধরে, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (পূর্ব বিভাগ) মাহমুদুল হাসান বলেন, সাধারণত শুকনা মৌসুমে ওই এলাকায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে থাকে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: